খারগোনের হিংসা নিয়ে শিবরাজ-দিগ্ববিজয় বাকযুদ্ধ অব্যাহত
খারগোনের হিংসা নিয়ে শিবরাজ-দিগ্ববিজয় বাকযুদ্ধ অব্যাহত
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস বনাম বিজেপি বাকযুদ্ধ জারি রয়েছে৷ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং একে অপরকে আক্রমণে পিছু হঠছেন না! সম্প্রতি রাম নবমী উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। খারগোনে একটি মসজিদের কাছ থেকে রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোঁড়ার পর এই হিংসা শুরু হয়। খারগোনোর ঘটনার পর থেকে একে অপরের লক্ষ্য বাক্যবাণ শানিয়েছেন বিজেপি-কংগ্রেস নেতারা৷
বিষয়ে একে অপরের উপর বন্দুক চালানো অব্যাহত রেখেছেন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী দিগ্ববিজয় সিং প্রথমে টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন৷ যদিও এরপর ছবিটি ভুয়ো বলে প্রমান দিয়ে দিগ্ববিজয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করে বিজেপি। এবার আবার শিবরাজের দিকে আঙুল তুলে দিগ্ববিজয় বলেছেন, বিজেপির আমলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিভাজন বাড়ছে৷ তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বে এরকম ঘটনা ঘটেনি৷
দিগ্ববিজয়কে পাল্টা দিয়ে বৃহস্পতিবার জয়ন্তীতে চৌহান বলেছেন যে খারগোনে দরিদ্র এবং তফসিলি জাতির মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার যখন দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখন কিছু কংগ্রেস নেতা সেটার বিরোধিতা করছেন! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে চৌহানের মন্তব্য সিংয়ের বিবৃতিকে অনুসরণ করে, যেখানে দিগ্ববিজয় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনকে খারগোনের হিংসতার জন্য দায়ী করেছেন৷
অন্যদিকে দিগ্ববিজয় সিং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, 'তার বিরুদ্ধে যতই এফআইআর দায়ের করা হোক না কেন, তিনি সবসময় সত্যের সঙ্গে থাকবেন।' চৌহানকে খারগোনের হিংসতার জন্য পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ারও অভিযোগ করে সিং বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমার শাসনামলে, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসতার একটি ঘটনা ঘটেনি। কারণ ওই সময় যে কেউ শান্তি ও সম্প্রীতি ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল, আমরা পক্ষপাতহীন হয়ে ওই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরও যোগ করেছেন, 'বিজেপি সব সময় ধর্মকে রাজনৈতিক লাভের জন্য অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। এবং যখন আমি খারগোনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্তের দাবি করছি, তখন বিজেপি নেতারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করছেন।'
'ভয়শূন্য চিত্ত আর উচ্চ শির সত্যি হোক বঙ্গে' পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছাতেও রাজ্যসরকারকে খোঁচা ধনখড়ের
পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী চৌহান বলেছেন, 'কিছু লোক মধ্যপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি এবং শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে। অনেক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং যখন রাজ্য সরকার এই হিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তখন দিগ্বিজয় সিং সেটা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। সিং আসলে মধ্যপ্রদেশে সাম্প্রদায়িকতার আগুন লাগাতে' চান। বলেও মন্তব্য করেছেন চৌহান৷ তিনি আরও বলেছেন, 'কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের কাউকে চিন্তা করতে হবে না। সরকার আপনাদের নিরাপত্তা এবং সম্মানের যত্ন নেবে। তবে হ্যাঁ, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং দিগ্বিজয় সিং এই ধরনের লোকদের বাঁচাতে পারবেন না।'