কমলনাথকে নিয়ে আত্মসমর্পণের সুর দিগ্বিজয়ের গলায়! ফ্লোর টেস্টের আগেই মধ্যপ্রদেশে হার স্বীকার কংগ্রেসের
ইতিমধ্যেই ১৬ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সরকার টেকার কোনও প্রশ্ন নেই। সেই কথায় মুখ ফুটে এতদিন কোনও কংগ্রেস নেতা স্বীকার করছিলেন না। তবে শুক্রবার আস্থা ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে সেই কথাটাই বললেন দিগ্বিজয় সিং। যার জেরে জল্পনা আরও বাড়ল।
কমনাথের সরকার বাঁচানো সম্ভব না
এদিন কংগ্রেসের বিধানসভার স্পিকার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করতেই সাংবাদিকদের কাছে কোনও রাগ না করেই এদিন দিগ্বিজয় বলেন, 'এই আস্থা ভোটে কমলনাথের সরকার জিতবে না। তাঁর কাছে সংখ্যা নেই।'
বিজেপিকে তোপ কংগ্রেসের!
এরপর বিজেপিকে তোপ দেগে দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'এটা টাকার খেলা। কী ভাবে এক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার সংখ্যালঘু হয়ে গেল তা সবাই দেখেছে।' এর আগেও বিধায়ক কেনা বেচার অভিযোগে বিজেপিকে বিদ্ধ করেছিলেন দিগ্বিজয় সিং।
বিধায়কদের ইস্তফায় বিপাকে পড়ে কংগ্রেস
প্রসঙ্গত, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়তেই তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ২২ বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে সেই সব ইস্তফা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে টালবাহানা দেখা গিয়েছিল। তবে ২২ জনের মধ্যে ৬ জন বিধায়কের ইস্তফা গ্রহণ করেছিলেন অধ্যক্ষ। বাকি ছিলেন ১৬। এবার সেই বাকি বিধায়কদের নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন অধ্যক্ষ।
বিক্ষুব্ধদের নিয়ে আদালতে ধাক্কা খায় কংগ্রেস
এদিকে বুধবার সকালে বেঙ্গালুরুর রামাদা হোটেলের সামনে ধর্নায় বসেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। আর এর জেরেই প্রতিরোধমূলকভাবে দিগ্বিজয়কে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর ছাড়া পেয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে কর্নাটক হাইকোর্টে এক আবেদন করেছিলেন দিগ্বিজয়। তবে সেই আবেদন নাকচ করে দেয় হাইকোর্ট। এর জেরে কগ্রেসের শেষ আশাও প্রায় মিলিয়ে যায়। আর এই পরিস্থিতিতে আত্মসমর্পণই করল কংগ্রেস।