
‘নারী মুক্তি প্রসঙ্গে আরএসএস-তালিবান একই মুদ্রার দু’পিঠ’, জাভেদ আখতারের পর তোপ দিগ্বিজয়ের
আরএসএস-র সঙ্গে তালিবানের(Taliban) তুলনা টেনে কয়েকদিন আগেই নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন বিথ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ জাভেদ আখতার। যে কারণে বিজেপির রোষের মুখেও পড়েন তিনি। এবার কার্যত একই দাবি তুলতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে (Digvijay Singh)। যা নিয়ে ফের বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। নারী মুক্তি ও নারী স্বাধীনতার প্রশ্নে তালিবানেরা ঠিক যতটা প্রতিক্রিয়াশীল আরএসএসও (RSS) ততটাই, এদিন কার্যত এই ভাষাতেই এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তুলোধনা করেন মধ্যপ্রদেশের এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা।
|
জাভেদ আখতারের পর এবার দিগ্বিজয় সিং
অন্যদিকে মহিলা ইস্যু হোক বা ধর্ম, দুই নিয়ে গত কয়েরদিন ধরে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ চলছে দিগ্বিজয় সিংয়ের। এদিকে আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থানের পর থেকেই তার আঁচ পড়ে গোটা বিশ্বে। এদিকে মুখে নারী স্বাধীনতার কথা বললেও মসনদে বসতেই ধীরে দীরে নিজ রূপে ফিরতে শুরু করে আফগানি উগ্রপন্থীরা। মহিলাদের জন্য জারি হয় একাধিক ফতোয়া।

চাপে গেরুয়া শিবির
ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কো-এড শিক্ষা। এমনকী মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। পোশাক থেকে শুরু হাঁটাচলা সবকিছুর উপরেই জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। আর এই নিয়েই এবার তালিবান প্রসঙ্গ জুড়ে আরএসএসকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল দিগ্বিজয় সিংকে। এদিকে সম্প্রতি নারী অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কার্যত বেশ খানিকটা প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতকে। আর এই প্রসঙ্গ টেনেই গেরুয়া শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় দিগ্বিজয় সিংকে।
|
টুইটারেই তোপ
এদিন সকালে একটি টুইট পোস্ট করে চাঁচাছোলা ভাষায় দিগ্বিজয় লেখেন, "তালিবানেরা বলে নারীরা মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয়। মোহন ভাগবত বলেন মহিলাদের ঘরে থাকা উচিত এবং বাড়ির যত্ন নেওয়া উচিত। তাহলে কী সত্যিই তাদের ধারণার মিল রয়েছে?" তার এই টুইটের পরেই তা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে আগামী ৯/১১-র কালা দিনে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তালিবানেরা।

তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে ভারত? উঠছে প্রশ্ন
এদিকে এখনই তালিবান সরকারকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা। যদিও তালিবানদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে রাশিয়া, চিন, পাকিস্তানকে। এমতাবস্থায় ভারতের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে চাপানৌতর জারি রয়েছে। এদিকে এদিন আরএসএস-র সমালোচনা করে টুইট করার সময় নিজের পুরনো পোস্ট জুড়ে দিতে দেখা যায় দিগ্বিজয়কে। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেন, "মোদী শাহ সরকারকে এখন স্পষ্ট করতে হবে যে ভারত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কি না! যেখানে ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য এবং ঘোষিত সন্ত্রাসীরা মন্ত্রীর পদে বসতে চলেছে। সেই সরকারের প্রতি ভারতের অবস্থান কী হবে?"