ভোটের সময় মুসলমান, ভোটের পরে জাহান্নাম! আনিস খানের হত্যার ঘটনা দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস অধীরের
আনিস খানের (Anish Khan) বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। সঙ্গে ছিলেন আমতার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক অসিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করে
আনিস খানের (Anish Khan) বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। সঙ্গে ছিলেন আমতার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক অসিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস তিনি পরিবারকে দেন। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতাকে নিয়ে তিনি আনিস খানের বাবা ও দাদার সঙ্গে বেস কিছুক্ষণ কথাও বলেন।
এবার দিল্লিতেও আনিস খানের কাহিনী
আনিস থানের মৃত্যুর ঘটনার পুর থেকে সেখানকার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ত অসিত মিত্র বাড়িতে গিয়েছেন একাধিকবার। এদিন আনিস খানের বাড়িতে প্রথমবার গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আনিস খানের বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সামনে আনিস খানের হত্যা তদন্তের বিষয়টি তুলে ধরবেন। এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রপতির কাছেও নিয়ে যাবেন। বিষয়ট নিয়ে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সংসদের অধিবেশনের বিষয়টি তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
ভোটের সময় মুসলমান...
অধীর চৌধুরী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম প্রীতিকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ভোটের সময় মুসলমান আর ভোটের পরে জাহান্নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ কতটা মুসলিম প্রেমি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
সিট হল লালিপপের মতো
এদিন অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন সিট হল লালিপপের মতো। তিনি এদিন সারদা ও নারদ কাণ্ডে সিটের তদন্তের কথাও উল্লেখ করেন। রাজ্য সরকারই সিটকে নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে কীভাবে আনিস খানের মৃত্যু তদন্তে অভিযুক্তরা সামনে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
সরকারের দেওয়া সময়সীমা শেষের পথে
১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতের ঘটনার পরে ২১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে আনিস খানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিট তৈরির কথা বলেছিলেন। এছাড়াও পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সামনে আনবার কথাও বলেছিলেন। তারপর এই ঘটনায় শুধুমাত্র এক হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও এই দু-জন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন সেই রাতে তাঁরা থানার নির্দেশেই আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে থানার আইসিকে ছুটিতে পাঠানোর পাশাপাশি তাঁকে বেশ কয়েকবার ভবানীভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কের স্বামী হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায় একেবারে প্রথমে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দাবি করেছিলেন এই ঘটনায় পুলিশের কোনও হাত নেই। পরবর্তী কালে রাজ্য পুলিশের ডিজি ঘটনাটি হত্যা কাণ্ড বলেছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তরফে সেই ঘটনায় পুলিশে হাত থাকার ইঙ্গিত মেলে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ওপর তলার কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Russia-Ukraine War: ইউক্রেনের প্রস্তাবে সম্মতি! দশম দিনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার