
আনিস মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট! তদন্তে আরও সময় চাইল রাজ্য
আনিস-খান হত্যাকাণ্ডের প্রায় অনেক দিন কেটে গিয়েছে! কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয় মৃত্যু রহস্য। একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এই অবস্থার মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিল বিশেষ তদন্তকারী দল অর্থাৎ সিট। আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানেই রাজ্যের তরফে সিটের আনিস-কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়েছে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ পাতার একটি রিপোর্ট এদিন জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাওড়া জেলা এবং দায়রা বিচারকের রিপোর্ট জমা পড়ছে আদালতে। গত কয়েকদিন ধরেই আনিস হত্যা মামলায় উত্তাল হয়েছে কলকাতা। দফায় দফায় ছাত্র বিক্ষোভ। আনিস মামলায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করে গ্রেফতার হতে হয়েছে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। যা নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে। তবে খামবন্ধ ওই রিপোর্টে ঠিক আছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে আনিস মামলার যে রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিলিপিও আনিসের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন রিপোর্ট জমা পড়লেও আনিস-কাণ্ডের তদন্তের আরও প্রয়োজন রয়েছে! আদালতে এমনটাই জানান রাজ্যের তরফে আইনজীবী। এমনকি ফরেন্সিক রিপোর্ট আসতে আরও দু'সপ্তাহ সময় লাগবে বলেও এদিন আদালতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে। সেই মতো রাজ্যের তরফে সিটের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট সিটের তদন্তে আস্থা রেখে আগের শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, সিটকে দু'সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লেও নতুন করে আরও সময় চাওয়া হয়েছে। তবে এদিন আদালত শুনানিতে প্রশ্ন করে যে, ওসিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ফরেন্সিক রিপোর্ট আসেনি। আর তা না আসায় অনেকেরই জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
আদালতে রাজ্যের দাবি মঞ্জুর হয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি আগামী সোমবার।
উল্লেখ্য, আনিস খুনের ঘটনার ১৫ দিনের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার নয়। ফলে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ। যদিও এই অবস্থায় একেবারে সুত্রে গিয়ে তদন্ত করছেন সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, খুব শিঘ্রই আনিস মৃত্যু-রহস্যের সমাধান হবে।