অভিযান আইন মেনে হয়নি, শাস্তি'র প্রয়োজন পুলিশকর্মীদের! আদালতে বিস্ফোরক রাজ্যে
আনিসের বাড়িতে অভিযান আইন মেনে হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে স্বীকার করে নিল রাজ্যের। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির প্রয়োজন। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানে
আনিসের বাড়িতে অভিযান আইন মেনে হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে স্বীকার করে নিল রাজ্যের। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির প্রয়োজন। আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানেই কার্যত বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি অ্যাডভোকেট জেনারেল।
শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়ে সিভিক নিয়োগ বন্ধ রাখা উচিত বলেও আদালতে ব্যক্তিগত মতামত জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, এদিন আনিস মামলায় আরও বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, আনিস মামলায় হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ যায়নি। তাই আইনের ৩০২ ধারা এই পুলিশ কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে মন্তব্য এজি'র। তবে সালেম খান এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী নয় বলেও দাবি তাঁর। তিনি শুধু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনেছেন বলেও আদালতে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
আরও বলেন, এই মামলার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন হতে পারেন। একজন হলেন মৃত আনিস খান আর বাকি দুই পুলিশকর্মী। আর কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই। এদিন সওয়ান জবাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ধস্তাধস্তি হলে তো পরিবারের কেউ না কেউ চিৎকারের আওয়াজ পেতেনই। কিন্তু এখানে কেউ কিছু শোনেননি। তবে আনিস খানের বাবা সালেম খান তিনবার বয়ান দিয়েছেন। কিন্তু তাতে তিন রকম কথা বলেছেন বলেও আদালতে জানান এজি।
অন্যদিকে অভিযুক্তের মোবাইল পরীক্ষা করে কোন রকমের কোন চক্রান্তের প্রমাণ মেলেনি। এমনকি খুনের কোন রকম উদ্দেশ্যও মোবাইল থেকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
তবে পুলিশ আধিকারিকরা আনিস খানকে চিনতেন কিনা সে প্রসঙ্গে এজি আদালতকে জানান, ওসি আমতা এবং অন্য এক পুলিশ কর্মী সৌরভ আনিস খানকে চিনতেন না। এমনকি পুলিশকর্মী নির্মল দাসও আনিস খানকে চিনতেন না। কাশিনাথ বেরাও আনিস খানকে চিনতেন না।
তবে এদিন একদিকে অ্যাডভোকেট জেনারেল শুনানিতে সওয়াল জবাব করলেও বিচারপতিও বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, তদন্তের যান্ত্রিক পদক্ষেপের কথা রাজ্যের রিপোর্টে আছে। কিন্তু দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের কি পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এমনককি তদন্ত করলেই হবে না, পরিবার এবং সাধারন মানুষের মনে যাতে আস্থা থাকে সেটাও দেখতে হবে বলে মন্তব্য বিচারপতির। এছাড়াও পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন একাধিক ইস্যু তোলেন তিনি।
তবে এদিনের মতো মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী ৭-ই জুন ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।