ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি ও মীনাক্ষী-সহ ১৬ জেলবন্দী নেতার মুক্তির দাবি! সই করলেন আনিসের বাবা-পরিবার
ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি ও মীনাক্ষী-সহ ১৬ জেলবন্দী নেতার মুক্তির দাবি! সই করলেন আনিসের বাবা-পরিবার
আনিস খানের (Anish Khan) মৃত্যু হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে। আর ঠিক একসপ্তাহ বাদে তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে পাঁচনায় এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক গিয়েছিল বাম ছাত্র যুবরা। সেই কর্মসূচিতেই বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি (Minakshi Mukherjee)-সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা এখনও জেলবন্দি রয়েছে। এদিন বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (dyfi)-এর তরফে আনিসের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে এবং মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের মুক্তির দাবি সই সংগ্রহ অভিযান হয় আনিসের গ্রাম আমতার দক্ষিণ খাঁ পাড়ায়। অংশ নেন আনিসের বাবা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বামেদের সই সংগ্রহ অভিযান
ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে এবং মীনাক্ষী মুখার্জি সহ ১৬জন জেলবন্দী ছাত্রযুব নেতার মুক্তির দাবিতে এদিন সই সংগ্রহ চলে আনিস খানের গ্রামে। সই করেন আনিসের বাবা, দাদা, পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা। ডিওয়াইএফআই নেতা ধ্রুবজ্যোতি সাহার নেতৃত্বে এদিন এলাকায় সই সংগ্রহ অভিযান চলে।
২৬ মে থেকে জেলবন্দি মীনাক্ষী-সহ ১৬ জন
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করে সব থেকে আগে পথে নামে বাম-ছাত্রযুবরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় হাওড়া গ্রামীণের এসপির অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। সেদিন তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকা জুড়ে। সেদিনই বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি-সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে পুলিশ খুনের ষড়যন্ত্র আনা হয়েছে। যার জেরে জেলবন্দি তিনি। শুক্রবার মীনাক্ষীর তৃতীয়বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে সোমবার ৭ মার্চ।
সিটকে সাহায্য নয় বলেছেন আনিস খানের বাবা
এদিকে আনিস খানের মৃত্যু তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকারে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আর তাদের সাহায্য না করার কথা বলেছেন তাঁর বাবা সালেম খান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরে দুসপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও একজন হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আনিস খানের বাবা সালেম খান বলেছেন, দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্টও তাঁদেরকে এখনও দেওয়া হয়নি। হুমকি ফোন নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার সিটের ছয় সদস্যকে ফিরিয়ে দেন সালেম খান।
দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছবেন, বলেছেন অধীর
আনিস খানের মৃত্যু তদন্ত নিয়ে দাবি দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন আদালতের পর্যবেক্ষণে সিবিআই তদন্ত করতে হবে। আনিস খানের পরিবারকে রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সংসদেও বিষয়টি তুলবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।