Russia-Ukraine War: ইউক্রেনের প্রস্তাবে সম্মতি! দশম দিনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ঘোষণা করেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। আর তার দশম দিনে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার তরফে স্থানীয় সময় বেলা ১০টায় জানানো হয়েছে তারা
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ঘোষণা করেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। আর তার দশম দিনে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার তরফে স্থানীয় সময় বেলা ১০টায় জানানো হয়েছে তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরত (ceasefire) করছে।
মানবিক করিডর তৈরি করতে রাশিয়ার যুদ্ধ বিরতি
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক নিউজের তরফে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে মানবিক করিডর তৈরি করতেই গ্রিনিচের সময় সকাল ছটা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এদিন মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল দশটায় এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে মারিউপোল এবং ভলনোভাখা থেকে সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নিতেই মানবিক করিডর। এব্যাপারে বার্তা দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সাত ঘন্টার জন্য এই যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রস্তাবে সম্মতি
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, বেলেরুশের ব্রেস্টে দ্বিতীয় দফার আলোচনার সময় ইউক্রেনের সঙ্গে মানবিক করিডর এবং বেরিয়ে যাওয়ার রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই সময় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার কাঠে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক করিডর তৈরি করতেও আহ্বান জানানো হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পোদোলিয়াক জানিয়েছিলেন উভয়পক্ষ মানবিক করিডরের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।
নাগরিকদের সরাতে যুদ্ধ বিরতির আবেদন করেছিল ভারত
এর আগে অবশ্য ভারত সরকারের তরফে যুযুধান রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কাছে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের সরাতে আবেদন করা হয়েছিল। বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি ছাড়া সবাইকে বের করে আনা কঠিন। সেই কারণে দুপক্ষই স্থানীয়ভাবে যুদ্ধবিরতি করুক, যাতে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়া যায়। ভারতের মুখপাত্র আরও জানিয়েছিলেন, নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ইউক্রেন সরকারের কাছে বাস ও ট্রেনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। যার পুরো খরচ দিতেও ভারত সরকার প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় মুখপাত্র আরও বলেছিলেন, ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় ইউক্রেন সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছেন, সতর্কতা জারির পর থেকে।
ইউক্রেন দাবি মানতে রাশিয়া প্রস্তুত
এদিকে যুদ্ধে নবম দিন পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার বিমান হানা অব্যাহত ছিল। যা নিয়ে রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন ইউক্রেন দাবি মেনে নিতে প্রস্তুত হলে রাশিয়া সমস্যার কূটনৈচিক সমাধানের জন্য প্রস্তুত।