আনিস খান মৃত্যু-রহস্যের তদন্ত প্রায় শেষ, ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ আদালতে
আনিস খান মৃত্যু-রহস্যের তদন্ত প্রায় শেষ, ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ আদালতে
হাওড়ার আমতার ছাত্র নেতা আনিস খান মৃত্যু-রহস্যের তদন্ত প্রায় শেষ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য। ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য জানিয়েছে, চার্জশিট দাখিল করা হবে শীঘ্রই। হায়দরাবাদ থেকে ফরেনসিক রিপোর্ট এসে গিয়েছে। তারপরই আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হল।
গত ফেব্রুয়ারিতে আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই আনিসের পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার সিবিআই তদন্ত দাবি করা হচ্ছিল। পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই বা আদালতের পর্যবেক্ষণ তদন্ত দাবি করা হয়। শেষমেশ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে সিট তদন্ত শুরু করে। রাজ্যের গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট আনিস খান মৃত্যু রহস্যের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল হাইকোর্টেষ
সোমবার হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান রহস্য মৃত্যু মামলায় শুনানির কথা ছিল। ওইদিনই রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল সিটের। কিন্তু বিচারপতি উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি। ফলে রিপোর্ট পেশ করাও যায়নি। সেই রিপোর্ট পেশ হল একদিন পর অর্থাৎ মঙ্গলবার। মঙ্গলবার ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করা হয় সিটের পক্ষ থেকে। সিটের পক্ষ থেকে রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয়, হায়দরাবাদ থেকে ফরেনসিক রিপোর্ট এসে গিয়েছে। তারপরেই রিপোর্ট পেশ করা হল। কলকাতার ল্যাবের রিপোর্ট এখনও হাত আসেনি। তারপরই আমরা রিপোর্টে তা সংযুক্ত করব এবং চার্জশিট পেশ করব।
সোমবার এজলাসে বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের অনুপস্থিতি নিয়ে আনিস খানের বাবা সালেম খান বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এদিন বিচারপতির নজরে আসতেই মামলা থেকে অব্যাহতি চান তিনি। আইনজীবীদের অনুরোধে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও আনিস খানের বাবাকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
মঙ্গলবার আনিস-কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয় মুখবন্ধ খামে। সিট জানায়, মোট ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হল আদালতে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলের রিপোর্ট এবং পেন ড্রাইভের মাধ্যমে রিপোর্ট জমা দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল।
সোমবার এজলাসে গরহাজির ছিলেন বিচারপতি রাজশেৎ মান্থার। তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আমতার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চাপে এজলাসে বসেননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। তারপরই এদিন তা বিচারপতির নজরে আসে। কিনি হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন দেন সালেম খানকে।