
আনিস কাণ্ডে আগামী মাসে তদন্ত শেষের নির্দেশ হাইকোর্টের, পরের শুনানি ১৮ এপ্রিল
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আনিস মামলার শুনানি হল। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে হয় এই মামলার শুনানি। সিট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়। এর পরে ঘটনা নিয়ে সওয়াল করেন আনিসের পরিবারের আইনজীবীরা। ঘটনা হল সতর্ক করে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল এই হত্যায় পুলিশি তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

সিটকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন যে সিএফএসএল-কে১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ এপ্রিল।
ঘটনা হল এদিন আদালতে জানাল আনিসের পরিবার আদালতে জানায় যে তাদের পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যে সিট গঠন করা হয়েছিল তাদের তদন্তের কোনও অগ্রগতি মেলেনি। এই কথার বদলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উত্তর দেওয়া হয় যে যেহেতু ফরেন্সিক রিপোর্ট আসেনি তাই এইটা ছাড়া তদন্তের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অমিতেশ ব্যানার্জি বলেন "ফরেন্সিক রিপোর্ট না আসা পর্য্যন্ত তদন্ত এগোনো যাচ্ছে না। হায়দরাবাদ থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত মোবাইল ফোনের তথ্য আসছে ততক্ষণ তদন্তের অগ্রগতি করা সম্ভব হচ্ছে না।"
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, "রিপোর্টে কিছুই নেই। শুধু আদালতের নির্দেশ মত কি হয়েছে সেটা বলা আছে। কারা জড়িত তাদের নাম নেই।" এরপরেই সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার প্রশ্ন করেন FSL & CFL রিপোর্ট কি এক মাসের মধ্যে দেওয়া সম্ভব? তারপর পরের শুনানির তারিখ দেওয়া হয়।
সিবিআইয়ের তৃতীয় চিঠি এড়িয়ে গরু পাচার কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত
ঘটনা হল রবিবার হাওড়ার ছাত্র নেতা আনিস খানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সূত্রের খবর, আনিস খানের মৃতদেহতে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে করা দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আনিস খানের মাথার খুলির পিছনে ডান কানের উপর পর্যন্ত গভীর ক্ষত মিলেছে। একই সঙ্গে, মৃতদেহের মেরুদন্ডের পাশাপাশি দুই নিতম্বেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।