
আগে জেরা করা হোক তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে, আনিস খানের হত্যা মামলায় জোরাল দাবি দিলীপের
ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক সওকত মোল্লা (saukat molla) আনিস খানের (anish khan) মৃত্যু নিয়ে তথ্য কীভাবে পেলেন, কোথা থেকে পেলেন, তা জানতে সিটের (sit) উচিত সব থেকে আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। এদিন নিউটাউনের ইকো পার্কে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এব্যাপারে আনিস খানের বাবার সঙ্গে তিনি একমত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রথমেই জেরা করা উচিত সওকত মোল্লাকে
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন আনিস খানের মৃত্যু পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে, এই তত্ত্ব খাঁড়া করার জন্য সওয়কত মোল্লাকেই প্রথমে জেরা করা উচিত। তাঁর প্রশ্ন সওকত মোল্লা কি সেদিন রাতে আনিস খানের বাড়িতে ছিলেন। না হলে তিনি জানলেন কী করে, এই তথ্যই বা তাঁর কাছে এল কোথা থেকে? সিট আগে তাঁকে জেরা করুক, দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।

সওকত মোল্লার দাবি
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেছেন, সিটের তদন্তের গতি প্রৃতি অনুযায়ী, আনিস খানের মৃত্যু হয়েছে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে। তিনি আরও বলেছেন, যে রাতে আনিস খানের মৃত্যু হয়, সেদিন আমতা থানার পুলিশ গিয়েছিল তাদের বাড়িতে। তৃণমূল বিধায়কের দাবি পুলিশ তাঁকে হত্যা করেনি। বাড়ির পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সিটের তদন্তেও এই ঘটনাই উঠে আসবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

প্রশ্ন আনিসের পরিবারের
তৃণমূল বিধায়কের এই দাবির প্রেক্ষিতে আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আনিস খানের পরিবার। আনিস খানের দাদা সাবির খান বলেছেন, তাদের বাড়িতে কোথাও পাইপ দেখতে পাওয়া যাবে না। আনিসের মৃত্যুর দিনেও ছিল না, এখনও নেই। তাহলে কীভাবে সওকত মোল্লা জানতে পারলেন ভাইসের মৃত্যু হয়েছে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে। তৃণমূল বিধায়কের এই দাবির পরে ক্ষিপ্ত আনিসের পরিবার। সিটের সঙ্গে কোনও রকমের সহযোগিতা করা হবে না বলে জানিয়েছেন আনিসের বাবা।

সিটের তদন্ত নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ
রাজ্য সরকারের তরফে আনিস খানের মৃত্যু তদন্ত সিটকে দিয়ে করানোর ব্যাপারে শুরুতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন সিটকে দিয়ে আসল তদন্তকে ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ কেন মারল, আর পিছনেই বা কে, তা বের করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন শুরুতেই তদন্তকে প্রভাবিত করেছেন এমন অফিসারদের বরখাস্ত করা হোক। হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত করার দাবি করেছিলেন তিনি।