গুজরাত-হিমাচলে ভোটের আগে কৃষক 'বন্ধু'! সারে ভর্তুকি প্রায় দ্বিগুণ বাড়াল মোদী সরকার
বিশ্বের বাজারে সারের দামে ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রবি মরসুমে কৃষকদের জন্য সারে ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করল মোদী সরকার। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবি মরসুমে নাইট্
বিশ্বের বাজারে সারের দামে ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রবি মরসুমে কৃষকদের জন্য সারে ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করল মোদী সরকার। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবি মরসুমে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার সারে ভর্তুকির জন্য ৫১৮৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সব থেকে বেশি ভর্তুকি
বাজেটে
২১
হাজার
কোটির
ভর্তুকির
কথা
বলা
হলেও,
যে
পরিমাণ
ভর্তুকির
ব্যাপারে
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিসভা
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে,
তা
দ্বিগুণেরও
বেশি।
বলেছেন
কেন্দ্রীয়
সারমন্ত্রী
মনসুখ
মান্ডভিয়া।
বৈঠকের
পরে
তিনি
সাংবাদিকদের
জানিয়েছেন,
সারের
দাম
বৃদ্ধির
কথা
মাথায়
রেখে
ভর্তুকির
পরিমাণ
বাড়ানো
হয়েছে,
যা
এখনও
পর্যন্ত
সর্বোচ্চ।
রবি
মরসুমে
ইউরিয়ার
ভর্তুকির
পরিমাণ
৮০
হাজার
কোটি
ধরে
সবমিলিয়ে
১,৩৮,৮৭৫
কোটি
টাকা।
আর
রবি
এবং
খরিফ
মরসুম
ধরে
ভর্তুকির
পরিমাণ
২.২৫
লক্ষ
কোটি
টাকা।
মন্ত্রী
জানিয়েছেন,
গত
বছরে
এই
ভর্তুকির
পরিমাণ
ছিল
১.৬৫
লক্ষ
কোটি
টাকা।
দায়ী রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ
কেন্দ্রীয় সারমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাসায়নিকের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এছাড়াও সঙ্গে মহামারীও রয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রের তরফে ভর্তুকির পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। কেননা সারের দাম বৃদ্ধির কারণে তা কৃষকদের বোঝার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেই কারণে কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে পরের ছয়মাসে কৃষকরা সারের দামবৃদ্ধিজনিত কোনও সমস্যায় না পড়েন।
ভর্তুকিযুক্ত ও ভর্তুকিহীন সারের দামের তফাত
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
জানিয়েছেন,
ভর্তুকি
ছাড়া
এক
ব্যাগ
ফসফেট
সারের
দাম
২৬৫০
টাকা।
যা
ভর্তুকির
পরে
দাঁড়াচ্ছে
১৩৫০
কোটি
টাকা।
অন্যদিকে
ইউরিয়ায়
ব্যাগ
প্রতি
ভর্তুকির
পরিমাণ
প্রায়
২৪০০
টাকা।
যেখানে
একব্যাগ
ইউরিয়ার
দাম
২৭০০
টাকা,
সেখানে
তা
কৃষকদের
হাতে
তুলে
দেওয়া
হচ্ছে
২৬৬
টাকায়।
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
জানিয়েছেন,
কেন্দ্রীয়
সরকার
দেশে
ইউরিয়ার
উৎপাদন
বাড়ানোর
ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
যেখানে
দেশে
ইউরিয়ার
চাহিদা
৩৫০
লক্ষ
মেট্রিক
টন,
সেখানে
দেশে
উৎপাদিত
ইউরিয়ার
পরিমাণ
২৫০
লক্ষ
মেট্রিক
টন।
মন্ত্রী
জানিয়েছেন,
এব্যাপারে
চারটি
নতুন
প্ল্যান্ট
কাজ
শুরু
করবে।
সার
কেনার
জন্য
কৃষকরা
লাইনে
দাঁড়াচ্ছেন,
এই
প্রসঙ্গে
আশ্বস্ত
করে
তিনি
আরও
জানিয়েছেন,
দেশে
প্রচুর
পরিমাণে
সার
মজুত
রয়েছে।
সাহায্য করবে কৃষকদের
সারে ভর্তুকি বৃদ্ধির পরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভর্তুকি বৃদ্ধির ফলে সেই সুবিধা-সহ সার কৃষকদের কাছে সহজলভ্য হবে রবি মরসুমে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম ও কাঁচামাল নিয়ে যে অস্থিরতা রয়েছে সে বিষয়টি পুরোপুরি কেন্দ্র দেখবে।
Russia-Ukraine War: রাশিয়ার আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত কমপক্ষে ১.৪ কোটি ইউক্রেনবাসী, দাবি রাষ্ট্রসংঘের