Russia-Ukraine War: রাশিয়ার আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত কমপক্ষে ১.৪ কোটি ইউক্রেনবাসী, দাবি রাষ্ট্রসংঘের
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আগ্রাসনে এখনও পর্যন্ত ১.৪ কোটি ইউক্রেনবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যা শতকের মধ্যে সব থেকে দ্রুততম এবং সব থেকে বড় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা, এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান। এর জেরে
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আগ্রাসনে এখনও পর্যন্ত ১.৪ কোটি ইউক্রেনবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যা শতকের মধ্যে সব থেকে দ্রুততম এবং সব থেকে বড় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা, এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান। এর জেরে বিশ্বে উদ্বাস্তু ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০.৩ কোটির বেশি বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেন
শীত পড়তে শুরু করেছে। সেই পরিস্থিতিঅত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন। দেশের সব থেকে কঠিন শীত মোকাবিলা করতে চলেছে তারা। এমনটাই জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। রাশিয়ার হামলায় পরিকাঠামো ধ্বংসের জেরে এই পরিস্থিতি বলেও জানিয়েছেন তিনি। যে মানবিক সাহায্য তারা পাচ্ছে, তা সাগরের জনে এক ফোঁটার মতো, বলেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান আরও বলেছেন, এই অর্থহীন যুদ্ধের অবসানে অনেক কিছু করতে হবে। এব্যাপারে ইউক্রেনের ভিতরে ও বাইরে আন্দোলন শুরুর ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন।
বাড়ছে উত্তাপ
এই পরিস্থিতি রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুই দেশেই যুদ্ধের উত্তাপ বাড়ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি আরও ব্যাপক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও এসব কিছুর মধ্যে ২৪ ঘন্টায় সব থেকে বেশি প্রায় ১ হাজারের বেশি রাশিয়ার সেনার মৃত্যুর দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
ইথিওপিয়া-মায়ানমারেও বাস্তুচ্যুত বহু মানুষ
এই বছরের প্রথমের দিকে ইথিওপিয়ায় সাড়ে আটলক্ষের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এছাড়াও মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যাটা ৫ লক্ষের মতো। ইতিমধ্যেই মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম। কবে এই মানুষগুলো ফিরে যেতে পারবে সে সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘ সন্দিহান। কঙ্গোতেও লক্ষ-লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি দুঃথ প্রকাশ করে বলেছেন, ২৫ বছর আগে কঙ্গোতে কাজ করার সময় তিনি যে ভয়াবহতা দেখেছিলেন, তার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বাস্তুচ্যুতির কারণ হচ্ছে জলবায়ুও
জলবায়ুর পরিবর্তনও বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়ে ওঠায় পরিস্থিতি আকও জটিল হয়ে উঠছে। উষ্ণায়ন প্রতিরোধের পাশাপাশি তাকে মানিয়ে নিয়ে আরও বেশি অর্থ সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। যদি তা না করা হয়, তাহলে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি উত্তেজনাও বাড়বে। এর থেকে বড় আকারের সংঘর্ষের জন্ম হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, এই মাসে মিশরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন এবং আগামী বছরে আরব আমিরশাহীতে শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ুর সংঘাত এবং তার ফলে স্থানচ্যুতি নিয়ে বিবেচনা করা হবে।
অনুব্রত গড়ে ফোঁস করলেন আদি তৃণমূল নেতা শেখ কাজল! সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দিলেন বার্তা