মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশিকা নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের!
ফাঁসিতে বিলম্ব ঠেকাতে আইনে সংশোধন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল থেকে শিক্ষা নিয়েই এই সিদ্ধান্ত। এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে মন্তব্য় করেন যে, 'সব কিছুর জন্য অনন্তকাল ধরে লড়াই করতে পারে না কেউ।'
সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্রের আবেদন
সুপ্রিমকোর্টে করা আবেদনে কেন্দ্র জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে সাজা সংশোধনের আর্জি অর্থাৎ কিউরেটিভ পিটিশন দাখিলের সময়সীমা স্থির করা হোক। নির্ভয়া কাণ্ডে চার অভিযুক্তের ফাঁসির দিন ঘোষণা করে জানানো হয়েছিল যে ফাঁসি হবে ২২ জানুয়ারি। কিন্তু দোষীরা পৃথকভাবে প্রথমে রায় সংশোধনের আর্জি, তারপর ফের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার কৌশল নেওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। নতুন ফাঁসির দিন ধার্য হয় ১ ফেব্রুয়ারি। তবে সেই তারিখটিও চূড়ান্ত নয়।
পবনের বিশেষ আবেদন খারিজ করে সুপ্রিমকোর্ট
এর আগে ২০ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্তের অন্যতম পবন কুমারের বিশেষ আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আর ভানুমতী নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। দোষী পবন কুমারের হয়ে তার আইনজীবী এপি সিং দাবি করেন ২০১২ সালে দিল্লিতে প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণের সময়ে নাবালক ছিল পবন। সেই ভিত্তিতেই সেই শুনানি হয়।
মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি
নির্ভয়া ধর্ষণের অপর এক দোষী মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ এদিকে দিল্লি আদালত ইতিমধ্যে ফাঁসির তারিখ জানিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন আবেদনের কারণে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর সম্ভব হবে না বলে ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট ১৪ জানুয়ারি বিনয় ও মুকেশের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কিউরেটিভ আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লি গণধর্ষণে মৃত নির্যাতিতার মা-বাবার আবেদনের ভিত্তিতে আজ রায় ঘোষণা করল দিল্লি হাইকোর্ট। ২২ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি হবে বলে নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত। নির্যাতিতা নির্ভয়ার মা-বাবা আবেদন করেছিল যে যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হেক। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই ৭ জানুয়ারি বিচারক সতীশ কুমার এই রায় শোনান। তবে এরপরেই দোষীদের একের পর এক আইনি পদক্ষেপে পিছিয়ে যায় ফাঁসি। এদিকে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলেও আবেদন খারিজ ও ফাঁসির মধ্যে অন্তত ১৪ দিনের ব্যবধান থাকতে হয়, তাই ২২ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে আপাতত ফাঁসির দিন ১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।