আগে হাইকোর্টে যান, জামিয়া ও আলিগড় কাণ্ডে আবেনদকারীদের বলল সুপ্রিমকোর্ট
আগে হাইকোর্টে যান, জামিয়া ও আলিগড় কাণ্ডে আবেনদকারীদের বলল সুপ্রিমকোর্ট
আগে হাইকোর্টে যান, জামিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে আবেনদকারীদের বলল সুপ্রিমকোর্ট। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড়ের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশি নিগ্রহে তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা ও দুই ছাত্র। আজ সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি হয় আজ।
'তথ্য খতিয়ে দেখার সময় নেই'
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'তথ্য খতিয়ে দেখার সময় নেই।' পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন, 'আবেদনকারীরা খুবই গম্ভীর বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই বিষয়ে দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করবেন।'
'পড়ুয়া বলেই কেউ আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে পারে না কেউ'
রবিবার সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ধরতে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢোকে পুলিশ। সেই রাতে প্রায় ৫০ জন ছাত্রকেও আটক করে রাখা হয়। এরপর এই ঘটনায় সরকার ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে বিরোধীরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্ররা। জামিয়ার আঁচ গিয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। এরপর সোমবার প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন ইন্দিরা জয়সিংহ, কলিন গঞ্জালভেসরা। প্রধান বিচারপতি সেদিনই জানিয়ে দেন, 'পড়ুয়া বলেই কেউ আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে যায়নি। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেই এ বিষয়ে বিচার করতে হবে।'
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জানিয়েছে, রবিবার রাতে দিল্লি পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে৷ জখম হন বহু পড়ুয়া। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে তারা বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। যার প্রেক্ষিতে পুলিশের সাফআই, হামলাকারী দুষ্কৃতীদের ধরতেই তারা ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল।
জামিয়ায় বিক্ষোভ
সদ্য পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রবিবার ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
আলিগড়েও বিক্ষোভ
এদিকে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদের রেশ আছড়ে পড়ে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় প্রতিবাদ৷ পরিস্থিতি বেগতাক দেখে ছআত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের লাঠি চার্জ করে। টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়৷ এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেট আটকায় পুলিশ৷ পরিস্থিতি সামলাতে ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়।
বিজেপি তাঁকে দেখে ভয় পাচ্ছে! ব্যাখ্যা করলেন জ্যোতিপ্রিয়