‘বাক-স্বাধীনতা ও অবমাননার মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে’, প্রশান্ত ভূষণকে কড়া জবাব সুপ্রিম কোর্টের
‘বাক-স্বাধীনতা ও অবমাননার মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে’, প্রশান্ত ভূষণকে কড়া জবাব সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ওঠা আদালত অবমাননা মামলায় নতুন জবাব দিতে দেখা গেল সুপ্রিম কোর্টকে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ প্রশান্ত ভূষণকে বাকস্বাধীনতা এবং অবমাননার মধ্যে সুক্ষ পার্থক্যের কথা স্মরণ করান।
২০০৯ সালের আদালত অবমাননা মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টে প্রশান্ত ভূষণ
এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলেই এই মামলার শুনানি চলে বলে জানা যায়। পাশাপাশি প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানকে প্রশান্ত ভূষণের পক্ষে একাধিক সওয়াল করতে দেখা যায়। একইসাথে তেহেলকা পত্রিকার সম্পাদক তরুণ তেজপালের প্রতিনিধিত্ব করতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা বরিষ্ঠ আইনজীবি কপিল। শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধেও এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছিলেন বরিষ্ঠ আইনজীবী হরিশ সালভে।
বাকস্বাধীনতা ও অবমাননার মধ্যে একটা সুক্ষ পার্থক্য রয়েছে, জবাব সুপ্রিম কোর্টের
এই মামলার শুনানি প্রসঙ্গেই এই সুপ্রিম কোর্ট প্রশান্ত ভূষণকে জানায়, "আমরা সবাই বাকস্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু তারপরেও অবমাননার ঘটনা ঘটে। বাকস্বাধীনতা ও অবমাননার মধ্যে একটা সুক্ষ পার্থক্য রয়েছে যা আপনি অতিক্রম করেছেন।" এদিকে ২০০৯ সালে তাহেলকা পত্রিকায় একটি বিশেষ সাক্ষত্কারের সময় সুপ্রিম কোর্টের তদানন্তীন ১৬ জন বিচারপতির বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আঙুল তুলতে দেখা যায় প্রশান্ত ভূষণকে। ১৬ জন প্রধান বিচারপতির মধ্যে অর্ধেক বিচারপতি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন ভূষণ।
টুইট বিতর্কে নাম জড়িয়ে ফের আদালত অবমাননার অভিযোগ
এদিকে গত মাসেই টুইট বিতর্কের জেরে গত মাসে ফের আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে। গত ২৭ জুন ও ২৯ জুন পর পর দুটি টুইটে সুপ্রিম কোর্টের বিচার প্রক্রিয়া ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিন। তারপর তার বিরুদ্ধে ফের আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। যদিও এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত ভূষণের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় সমাজের ১৩১ বিদ্বজনেদের। যৌথ বিবৃতিতে তারা সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ‘সমালোচনা দমনের চেষ্টা চালানোর' অভিযোগ আনেন। পাশাপাশি প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাহারে কথাও বলেন।
সু্প্রিম কোর্টে হলফনামা প্রশান্তের
এদিকে এইফৌজদারি অপরাধের মামলায় সম্প্রতি সু্প্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। দেশের প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করলেই শীর্ষ আদালতের কর্তৃত্বকে খাটো করে দেখানো হয় না বলে দাবিও করেন তিনি। ওই হলফনামায় প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, "দেশের প্রধান বিচারপতিই সুপ্রিম কোর্ট আর সুপ্রিম কোর্ট মানেই প্রধান বিচারপতি, এমন ভাবনা আসলে শীর্ষ আদালতের প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বকে কমিয়ে দেয়।"
বিজেপির সভাপতির ঘরেই ভাঙন! একুশে নির্বাচনের আগে প্রশ্ন দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে