ফের শীর্ষ আদালতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে প্রশান্ত! সুপ্রিম নির্দেশের পরেও ক্ষমা চাইতে অস্বীকার
ক্রমেই আদালতে নতুন মাত্রা পাচ্ছে প্রশান্ত ভূষণের আদালত অবমাননতার মামলা। দেশজোড়া বিতর্ক ও শীর্ষ আদালতের সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়েও ক্ষমা চাইতে নারাজ বিশিষ্ট আইনজীবী-সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ। আদালত অবমাননার অপরাধে 'অভিযুক্ত’ হয়েও কোর্টের প্রতি করা মন্তব্য তিনি ফেরাবেন না বলে এদিন ফের একবার জানালেন তিনি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েও প্রশান্ত ভূষণের সাফ কথা,“আদালতের প্রতি করা মন্তব্য ফেরালে নিজের বিবেচনার সঙ্গে অবমাননা করা হবে।”ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এই মন্তব্যের মাধ্যমে এবার সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলেন তিনি। নিজের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, "গণতন্ত্রের সুরক্ষা মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রকাশ্যেই আমি এই মন্তব্য করি। একজন ন্যায়ের রক্ষক হিসেবে আমি এই সমালোচনা করেছি।"
এদিকে গত ২৭ জুন ও ২৯ জুন পরপর দু’টি টুইট করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তাকে। প্রথম দিনের টুইটে প্রশান্ত ভূষণ লেখেন, “ঘোষিত ভাবে জরুরি অবস্থা জারি না করে গত ছ’ বছরে ভারতে কী ভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ওই টুইট বার্তায় সুপ্রিম কোর্ট ও প্রাক্তণ বিচারপতিদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। আর এই ঘটনার জেরেই বর্তমানে আদালত অবমাননার মুখে পড়েছেন প্রশান্ত।
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার শেষ শুনানিতে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চও খানিকটা ধমকের সুরেই প্রশান্তের কার্যকলাপের সমালোচনা করেন। প্রশান্তের বর্তমান ভূমিকা নিয়ে তাদের স্পষ্ট জবাব, "এজলাসে অন্তত আইনি মাথাটা ব্যবহার করবেন না। আমরা অকারণে কাউকে অবমাননার জন্য কাঠগড়ায় তুলিনি।" ওই শুনানির পরেই প্রশান্ত ভূষণকে মন্তব্য ফেরাতে তিনদিন সময় দিয়েছিল আদালত।
এই সময়সীমার মধ্যেই এবার নিজের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করতে দেখা গেল প্রশান্তকে। এর আগে এই গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি ভার্চুয়াল বক্তৃতাতেও সরব হন প্রশান্ত। সেখানেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, 'সংবিধানের প্রতিটা অধ্যায়ের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে, প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আজ জেল-যাত্রা বা যে কোনও পরিণামের জন্য তৈরি আমাদের থাকতে হবে।’