আমজনতার মন জয় করতে বাজেট ২০১৮-য় কোন দিকে ফোকাস থাকবে জেটলির
বাজেটে কোনদিকে অর্থমন্ত্রী জেটলির বেশি ফোকাস থাকবে, কী বলছেন অর্থনীতিবিদেরা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সংসদে বাজেট পেশ করবেন। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে এটাই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এছাড়া জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হওয়ার পরও এটাই প্রথম বাজেট হতে চলেছে কেন্দ্রের। কোনদিকে কেন্দ্র তথা অর্থমন্ত্রী জেটলির বেশি ফোকাস থাকবে, কী বলছেন অর্থনীতিবিদেরা।
গ্রামীণ বাজেটে ফোকাস
এই বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তারপরের বছরে রয়েছে লোকসভা ভোট। সেটা মাথায় রেখেই গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কোমর বাঁধবে মোদী সরকার। পরের বাজেটে কৃষকদের উপরে ফোকাস করা হবে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন:বাজেটে কোন বড় ঘোষণার পথে জেটলি, কোন শ্রেণি পেতে পারে বিশেষ সুবিধা]
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে ২০১৯ সালের আগে কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না নিতে পারলে ছেড়ে কথা বলবে না বিরোধীরা। ২০১৪ সালে যেখানে ৪ লক্ষ ২১ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছিল সেখানে ২০১৫ সালে তা কমে ১ লক্ষ ৩৫ হাজারে নেমে যায়। তারপরের বছরগুলিতেও বিশেষ সাফল্য পায়নি মোদী সরকার। ফলে এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান তৈরির বড় সুযোগ নিতে চাইছে কেন্দ্র।
পরিকাঠামো খাতে খরচ
সারা দেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে তরান্বিত করতে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে চাইছে মোদী সরকার। একথা আগে বহুবার বলেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৮-২০২২ সালের মধ্যে ভারতের পরিকাঠামো খাতে ৫০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা উচিত। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২২ সালের মধ্যে ৮৩ হাজার কিলোমিটার নতুন হাইওয়ে গড়তে ৭ লক্ষ কোটি টাকা খরচের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।
আয়করের স্ল্যাব বাড়ানো
মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে আয়করের স্ল্যাবে ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র। সর্বনিম্ন স্ল্যাবের সীমা বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি ৮০সি-র সীমাও বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া অর্থনীতিবিদদের আর্জি মেনে ভারতের শিল্পকে বিশ্বজনীন করে তুলতে কর্পোরেট করেও বড় ছাড় দিতে পারেন অরুণ জেটলি।
ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবন
সরকার ব্যাঙ্কগুলিকে পুনরুজ্জীবনের জন্য ইতিমধ্যে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭৬ হাজার কোটি টাকা আসবে বাজেট বরাদ্দ ও বাজার থেকে থেকে। সঠিকভাবে কার্যকর করা গেলে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কিং সেক্টরের পুনরুজ্জীবন তা থেকে বড় লাভ হবে সরকারের।