মধ্যবিত্তরা নাগালের মধ্যে! কংগ্রেসকে পাল্টা দিতেই কি বাজেটে ঘুরিয়ে নাক ধরল মোদী সরকার
কংগ্রেস সবসময় সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া অংশের থেকে ভোট বেশি পেয়েছে। তাই বেছে নিয়ে সেই অংশকেই টার্গেট করল কেন্দ্র।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যত বিধানসভা ও পুরসভা নির্বাচন হয়েছে, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সিংহভাগ ভোট পেয়েছে বিজেপি। শহুরে জনতার বেশিরভাগই বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে। মধ্যবিত্তরা দলে দলে গিয়ে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে।
[আরও পড়ুন:গ্রামোন্নয়নে টার্গেট, গরিবদের জন্য কল্পতরু বাজেট পেশ জেটলির]
আর সেটা মাথায় রেখেই আগামী লোকসভা ভোটের আগে মধ্যবিত্তদের কি একটু বেশিই হেলা-ছেদ্দা করল মোদী সরকার? বিশেষ করে বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুই না পড়ে থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কংগ্রেস সহ বিরোধীরা যেমন এই বাজেটে আশাব্যঞ্জক কিছুই দেখেননি। তেমনই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে ফ্লপ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই অবস্থায় কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য হল, যেহেতু কংগ্রেস সবসময় সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া অংশের থেকে ভোট বেশি পেয়েছে। তাই বেছে নিয়ে সেই অংশকেই টার্গেট করল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন:জেটলির বাজেটকে এতটাই কদর্য বললেন মনমোহন ]
গ্রামীণ ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে যেভাবে ফোকাস করা হয়েছে, যেখানে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানোন্নয়নের স্বপ্ন বাজেটে দেখানো হয়েছে তাতে দুটি জিনিস পরিষ্কার। প্রথম আগামী ভোটের আগে দেশের গ্রামীণ জনসংখ্যাকে সন্তুষ্ট করতে চাইছে মোদী সরকার। এবং দ্বিতীয় বিষয় হল, দেশের দরিদ্র শ্রেণির সিংহভাগই সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া বর্গের প্রতিনিধি। ফলে এখানেও একসঙ্গে দুটো জিনিসকে টার্গেট করেছে মোদী সরকার।
স্বাস্থ্য বীমা হিসাবে সরকার যেটা ঘোষণা করেছে তা আক্ষরিক অর্থেই বিশাল কর্মযজ্ঞ। দাবি করা হচ্ছে ৫০ কোটি মানুষকে এর আওতায় আনা হবে। যদি তাই হয়, তাহলে এত মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার মতো হাসপাতাল ও পরিকাঠামো সরকারের আছে তো? নাকি পুরোটাই গিমিক?
[আরও পড়ুন: শুধু বিজেপি নয় তৃণমূলের সুলতানও গোহারা, জয়ের দৌড়ে আকাশ ছুঁলেন সাজদা ]
১০ কোটি পরিবার পিছু সরকারের বরাদ্দ ৫ লক্ষ টাকা। এটাও অঙ্কের হিসাবে বিশাল। এতটা বাজেট বরাদ্দ করার সাহস সরকার দেখাতে পারবে তো? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে আগামী দিন। আপাতত ভালো হোক বা খারাপ বাজেট নিয়ে নিরন্তর আলোচনা চলতেই থাকবে।