শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ থেকে বি-টেক পড়ুয়াদের গবেষণার সুযোগ, বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্র আর কী পেল
দেশের শিক্ষা ক্ষেতে একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। একটি ইন্টিগ্রেটেড বিএড প্রোগ্রামেরও উদ্য়োগ নেওয়া হবে। যেখানে ১৩ লক্ষ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
দেশের শিক্ষা ক্ষেতে একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। একটি ইন্টিগ্রেটেড বিএড প্রোগ্রামেরও উদ্য়োগ নেওয়া হবে। যেখানে ১৩ লক্ষ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও 'প্রাইমমিনিস্টার রিসার্চ ফেলোজ' স্কিমের আওতায় দেশের হাজার জন সেরা বিটেক পড়ুয়াকে বেছে নেবে যাঁদের আিআইটি আইআইএসিতে গবেষণার সুযোগ দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন:বাজেটের পর কোন জিনিসের দাম বাড়ল, কোন জিনিসের কমল জেনে নিন একনজরে]
উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ২০২২ সালের মধ্যে শিক্ষার প্রসার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮ -তে। এদিন বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন , যে সমস্ত জায়গায় ৫০ শতাংশ তফশিলি উপজাতি মানুষের বসবাস রয়েছে বা অন্তত ২০ ,০০০ জন উপজাতিভুক্ত মানুষ বাস করেন সেখানে 'একলব্য বিদ্যালয়' গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, এই স্কুলগুলি নবোদ্যোয়া বিদ্যালয়ের সঙ্গে অঙ্গীভূত হবে। যার মাধ্যমে স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও স্কুলগুলিতে খেলাধুলো ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এদিনের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ওপর বেশ জোড় দেওয়া হয়েছে। শিক্ষায় প্রযুক্তি ও ডিজিটাইজেশনের পরিমাণ বাড়ানোর বার্তা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এজন্য ডিজিটালবোর্ড ক্লাসরুমে আনার কথাও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:রেল বাজেট ২০১৮-য় কোন কোন ঘোষণা করেছেন জেটলি, জেনে নিন আলাদা করে ]
এছাড়াও 'রিভাইটালাইজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড সিস্টেম ইন এডুকেশন বাই ২০২২' এরও ঘোষণা করা হয়েছে এই বাজেটে। যেখানে ১,০০০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে গবেষণায় বিনিয়োগের বিষয়েও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই বিনিয়োগ শিক্ষার গুণগত মান বাড়াবে বলে দাবি করা হয়েছে।