মোদীর রাজ্যে রাহুলের দলের ইস্তেহার হার মানাবে মমতার চালু প্রকল্পকেও
গুজরাত ভোটে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। রাজ্যবাসীর হাতে অনেকটা চাঁদ হাতে দেওয়ার মতোই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।
গুজরাত ভোটে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। রাজ্যবাসীর হাতে অনেকটা চাঁদ হাতে দেওয়ার মতোই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। তবে ইস্তেহারে দেওয়া আশ্বাসের কতটা অংশ পূরণ করা যাবে তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
২২ বছর পর রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে কড়া টক্কর কংগ্রেসের। অন্তত এমনটাই বলছে ওপিনিয়ন পোল। অনেকটা ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতেই অতি জনপ্রিয় ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনেকটাই হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো।
একবার দেখে নেওয়া যাক কী আছে সেই ইস্তেহারে। ইস্তেহারটি ৬০ পাতার। মহিলাদের জন্য আবাস, কৃষকদের জন্য ঋণ মকুব, বেকার ভাতা, কর হ্রাস, বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক প্রতিশ্রুতি, শিক্ষা এবং সামাজিক নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের প্রতিশ্রুতি। আর যে অস্ত্রে পাতিদারদের সঙ্গে পেয়েছে কংগ্রেস, তাও ইস্তেহারে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে পাতিদারদের মতো উচ্চশ্রেণিভুক্তদেরও।
ইস্তেহারকে 'মানুষের ইস্তেহার' বলে দাবি করা হয়েছে গুজরাত কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেস সভাপতি, ভারতসিন সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, রাজ্যের সব শ্রেণির মানুষের দুর্দশার প্রতিফলন রয়েছে ইস্তেহারে। ইস্তেহার তৈরির মূল দায়িত্বে ছিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য মধুসূদন মিস্ত্রি এবং শ্যাম পিত্রোদা।
কংগ্রেস গুজরাতে ক্ষমতায় আসলে সংবিধানের ৩১সি এবং ৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী পাতিদারদের জন্য সংরক্ষণ দিতে উদ্যোগ নেবে বলেও জানানো হয়েছে।
কৃষকদের জন্য
- আলাদা করে কৃষকদের জন্য ঋণ মকুবের আশ্বাসের পাশাপাশি, কৃষিকাজের জন্য দিনে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুত এবং বিনামূল্যে জল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে।
বেকারদের জন্য
- বেকারদের স্বনিযুক্তির উপায় হিসেবে, ২৫ লক্ষ যুবকের জন্য ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে বলেও ইস্তেহারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বেকারভাতা হিসেবে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম দিতে
- মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম দিতে পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে কর কমানোরও আশ্বাস দিয়েছে জুরাত রাজ্য কংগ্রেস।
বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস
- বিদ্যুতের মূল্য ৫০ শতাংশ হ্রাস করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউনিট পিছু ২ টাকা করে কমানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে ইস্তেহার ইস্তেহারেই থেকে যায়। যদি কংগ্রেস গুজরাতে ক্ষমতায় আসেও, সেক্ষেত্রে ইস্তেহারে দেওয়া আশ্বাসের কতটা অংশ পূরণ করা যাবে, তা নিয়েও সন্দিহান তাঁরা।