১৬টি আসনে কোনও বিরোধী দল নয়, অন্য শক্তি হারিয়েছে বিজেপিকে
বিজেপি আগের বারের চেয়ে ১৬টি আসন কম পেয়েছে। কীভাবে এতগুলি আসন কম পেল বিজেপি? শুধুই কি কংগ্রেসের জন্য এতগুলি আসন কমল?
গুজরাতে ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১১৫টি আসন পেয়েছিল। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। তবে এবছর মোদী হাওয়া চুপসে গিয়ে কোনওমতে গড় রক্ষা করেছে বিজেপি। এমনকী আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে একশোতেও পৌঁছতে পারেনি। ৯৯টিতে এসে ঠেকেছে।
ভোটের ফলাফল বেরনোর আগে প্রায় সবকটি সমীক্ষা সংস্থাই জানিয়েছিল, বিজেপি ২০১২ সালের ফলাফলকে ছোঁবে। তবে ফলাফল বেরনোর পর দেখা গেল, বিজেপি আগের বারের চেয়ে ১৬টি আসন কম পেয়েছে। কীভাবে এতগুলি আসন কম পেল বিজেপি? শুধুই কি কংগ্রেসের জন্য এতগুলি আসন কমল?
ঘটনা হল এবছর বিজেপি ও কংগ্রেসের পর সবচেয়ে বেশি ভোট গুজরাতে পেয়েছে কোনও রাজনৈতক দল নয়, নোটা বা 'নন অ্যাবভ দ্য অপশন' বোতাম। এটিতে চাপ দিয়ে কোনও দলের প্রতিই সমর্থন জানাননি ভোটাররা।
মোট ৫ লক্ষ ভোট পড়েছে নোটায়। আর বলা হচ্ছে, এই ভোটের সিংহভাগই বিজেপির ভাগে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তা না যাওয়াতেই এই হাল। বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা যেমন মাত্র কয়েকশো ভোটে জিতেছেন, তেমনই কিছু জায়গায় কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে হেরেও গিয়েছেন।
যে ১৬টি আসনে বিজেপি হেরে গিয়েছে সেখানে বড় ভূমিকা নিয়েছে নোটা অপশন। সেই কেন্দ্রগুলিতে প্রচুর মানুষ নোটায় ভোট দিয়েছেন। পতিদার ও দলিতদের একটা বড় অংশ কোনও দলকেই ভোট দেয়নি।
ছোটা উদয়পুর, দাঙ্গস, দাসাদা, দেওদার, ধানেরা, জামযোধপুর, কাপরাডা, মানসা, মোদাসা, মোরবি, মোরভা হরফ, সোজিত্রা, তালাজ, ওয়াঙ্কানের, লুনাওয়াড়ার মতো আসনে বিজেপি কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার ভোটে হেরেছে। এই সবকটি জায়গায় নোটায় কয়েক হাজার করে ভোট পড়েছে। যা প্রতিষ্ঠান বা সরকার বিরোধিতার প্রতীক হিসাবে দেখা হচ্ছে। ফলে এই আসনগুলিতে কংগ্রেস নয়, নোটা-র কাছে পরাজয় হয়েছে বিজেপির।