পতিদারদের তীব্র প্রতিরোধ সত্ত্বেও কোথায় বাজিমাত করল বিজেপি
পতিদারদের একটা অংশ বিজেপিকে সমর্থন করায় এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল।
গুজরাত নির্বাচনে এবার বড় প্রতিরোধ গড়ে তুলল পতিদার সমাজ। কয়েকটি আসনে বিজেপিকে হারানো ছাড়াও কয়েকটি আসনে হারের কাছাকাছি বিজেপিকে পৌঁছে দিয়েছে পতিদারদের ভোট। তবে তাদের একটা অংশ বিজেপিকে সমর্থন করায় এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল।
[আরও পড়ুন:গুজরাতে কোথায় পিছিয়ে পড়ল কংগ্রেস, কোন অঞ্চলে বাজিমাত বিজেপির ]
মোট ৫২টি আসনে পতিদারদের ভোট ছিল ২০ শতাংশের বেশি। সেখানে বিজেপি জিতেছে ২৮টি আসন। কংগ্রেস জিতেছে ২৩টি আসন। একটি আসন জিতেছে নির্দল প্রার্থী।
২০১২ সালে অথচ চিত্রটা ছিল অন্যরকম। তখনও সংরক্ষণ নিয়ে পতিদারদের আন্দোলন দানা বাঁধেনি। হার্দিক প্যাটেলের নাম তখন ভেসে ওঠেনি। বিজেপি জিতেছিল ৩৬টি আসন। কংগ্রেস জেতে ১৪টি আসন। দুটি আসন জেতে গুজরাত পরিবর্তন পার্টি।
সৌরাষ্ট্র এলাকায় কংগ্রেস দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। রাহুল গান্ধীর দল ৩০টি ও বিজেপি ২৩টি আসন পেয়েছে। এনসিপি পেয়েছে ১টি আসন।
পতিদার আন্দোলনের ফলে ২০১২ সালে যেখানে ৪৭জন বিধায়ক ছিলেন, সেখানে ২০১৭ সালে ৪৪জন বিধায়কে এসে তা ঠেকেছে। এর মধ্যে লেউভা পতিদার ২৫ জন ও বাকী ১৯ জন কাড়ভা পতিদার রয়েছেন। সৌরাষ্ট্রে পতিদারদের প্রভাব থাকলেও সুরাত, মেহসানা ও রাজকোট এলাকায় বিজেপির ভালো ফল আটকাতে পারেননি হার্দিক প্যাটেল। তবে দাঁত অবশ্যই ফোটাতে পেরেছেন। কারণ এই এলাকাগুলিতে বিজেপি কোথাও তিনশো, কোথাও পাঁচশো, কোথাও হাজার ভোটে জিতেছে।
আদিবাসী এলাকায় ২০১৭ সালে এসে বিজেপি ২২টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসন পেয়েছে, আর কংগ্রেস পেয়েছে ২২টি আসন। যা বিজেপির ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। তবে শেষ অবধি শহরের পতিদারদের ভোটই অক্সিজেন জুগিয়েছে বিজেপিকে। সৌরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে সুরাটের শহর এলাকায় এসে বাস করা পতিদাররাই বিজেপির মুখরক্ষা করেছে।
[আরও পড়ুন:গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন এই টেলি অভিনেত্রী! কেন বাদ আগের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি]