৩ লস্কর জঙ্গির ফাঁসির সাজা ঘোষণা বনগাঁ আদালতের
তিন লস্কর জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিল বনগাঁ আদালত। দেশদ্রোহিতার অপরাধে মহম্মদ ইউনিস, মহম্মদ আবদুল্লা ও মুজাফ্ফর আহমেদের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক।
বনগাঁ, ২১ জানুয়ারি : তিন লস্কর জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিল বনগাঁ আদালত। দেশদ্রোহিতার অপরাধে মহম্মদ ইউনিস, মহম্মদ আবদুল্লা ও মুজাফ্ফর আহমেদের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। করাচি থেকে ঢাকা হয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলায় ঢুকতে গিয়ে সীমান্তরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই লস্কর জঙ্গিরা। মোট চার জঙ্গি ধরা পড়ে যায় বিএসএফের হাতে। ধৃতদের মধ্যে দু'জন ভারতীয় ও দু'জন পাকিস্তানি ছিল।
ভারতে নাশকতার ছক কষে ২০০৭ সালে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলায় প্রবেশের চেষ্টা করে চার লস্কর জঙ্গি। এদের মধ্যে মহম্মদ ইউনিস লস্করের আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য ছিল। এই মহম্মদ ইউনিস ও মহম্মদ আবদুল্লা পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। ধৃত মহম্মদ মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠোর কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা। অপর জন শেখ সামিম মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ধৃত চার জঙ্গিকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ছত্তিশগড়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে সামির ফেরার হয়ে যায়।
বাকি তিনজেনর বিচারপক্রিয়া চলছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ আদালতে। প্রায় ১০ বছর পর এই মামলার রায় দান হল এদিন। বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক তিন জঙ্গির ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। ভারতে নাশকতা চালাতেই তারা পরিকল্পনা করে এ দেশে প্রবেশ করেছিল। ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল তারা পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকতেই বিএসএই তাদের পাকড়াও করে। তুল দেওয়া বনগাঁ পুলিশের হাতে।
ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়। জঙ্গিদের কাছ থেকে নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় রাসায়নিক উদ্ধার হয়। ওই রাসায়নিক থেকে প্রাণঘাতী বিস্ফোরক তৈরি হয়। সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতায় জঙ্গিদের সেই নাশকতার ছক বানচাল হয়ে যায়।