সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান , বিচ্ছিনতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন
সম্প্রতি ইয়াসিন মালিককে সন্ত্রাসবাদী কাজে অর্থ যোগান দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল এনআইএ। এবার কাশ্মীরি বিচ্ছন্নতাবাদী নেতার মৃত্যুদণ্ড চাইল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের জন্য একটি বিশেষ আদালতের কাছে এই দাবি করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
গত সপ্তাহে মালিক সন্ত্রাসবাদী কাজে অর্থ যোগান দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়। এনআইএ বিশেষ বিচারক প্রবীণ সিংয়ের সামনে এই রিপোর্জট জমা দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে। এদিকে মালিককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেব আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অ্যামিকাস কিউরি। তিনি আদালতের কাছে মালিকের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। সহজ কথায় যিনি এই কেস মালিকের হয়ে লড়ছেন তিনি জানেন বিচ্চিন্নতাবাদী নেতার ছাড় পাওয়া প্রচণ্ড শক্ত যদি জান জাওয়াটা রোখা যায়। তাই তিনি ওই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে শাস্তি কম কমাতে আর্জি জানিয়েছেন।
মালিক আদালতকে বলে যে সে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন যদি গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে তার জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে পারে। মালিক আরও উল্লেখ করে যে তিনি সাতজন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করেছেন এবং বিচারককে সে বলে এবার শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণের বিষয়টা সে আদালতের উপর ছেড়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে সে কোনও আর্জি জানাবে না।
শুনানির পর আদালত তার নির্দেশ কী হবে তা জানায়নি। তা শীঘ্রই ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলের মধ্যে আদালত তার আদেশ জানিয়ে দেবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ১৯ মে, বিশেষ বিচারক প্রবীণ সিং মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন এবং এনআইএ কর্তৃপক্ষকে তার আর্থিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। আদালত মালিককে শুনানির পরবর্তী তারিখের মধ্যে তার আর্থিক সম্পদের বিষয়ে একটি হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেয়।
মালিক আদালতকে বলেছিল যে তার বিরুদ্ধে ১৬ (সন্ত্রাসবাদী আইন), ১৭ (সন্ত্রাসবাদী আইনের জন্য তহবিল সংগ্রহ), ১৮ (সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র) এবং ২০(সন্ত্রাসবাদী দলের সদস্য হওয়া) সহ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সে করছে না।
আদালত এর আগে ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাতে, শাব্বির শাহ, মাসরাত আলম, ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ, নঈম খান, আকবর খান্ডে, রাজা মেহরাজউদ্দিন কালওয়াল সহ কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জশিট গঠন করা হয়। তালিকায় ছিল বশির আহমদ ভাট, জহুর আহমদ শাহ ওয়াতালি, শাবির আহমদ শাহ, আবদুল রশিদ শেখ এবং নভাল কিশোর কাপুরের নাম।
লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সৈয়দ সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দাখিল করা হয়, যাদের এই মামলায় অপরাধী (পিও) ঘোষণা করা হয়েছে।