মৃত্যুদণ্ডের সেরা অপশন কোনটা, সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র
মৃত্যুদণ্ডে ফাঁসিই সেরা অপশন। খুব তাড়াতাড়ি এটি কার্যকর করা যায়। সুপ্রিম কোর্টকে একটি জনস্বার্থ মামলার জবাবে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
মৃত্যুদণ্ডে ফাঁসিই সেরা অপশন। খুব তাড়াতাড়ি এটি কার্যকর করা যায়। সুপ্রিম কোর্টকে একটি জনস্বার্থ মামলার জবাবে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন:রোজভ্যালি মামলা! সিবিআই-এর জেরার মুখে ত্রিপুরার প্রাক্তন ২ মন্ত্রী]
হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে মৃত্যুদণ্ডে কেন ফাঁসিই সেরা অপশন। অন্য উপায় যেমন ইঞ্জেকশন বা ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো আরও বেশি নৃশংস ও অমানবিক। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড বিরল ঘটনাতেই শুধুমাত্র দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করেন ফাঁসির সাজা তুলে দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে মৃত্যুর অধিকার সুনিশ্চিত করতে আবেদন করেন সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা মোতাবেক। যে ধারায় বাঁচার অধিকার ও স্বতন্ত্রতাকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
আদালতের কাছে কেন্দ্র আবেদন করে যাতে জনস্বার্থ মামলাটিকে খারিজ করা হয়। শেষ অবধি সব শুনে আদালত মামলা খারিজ করেছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে যেভাবে ইলেকট্রিক চেয়ার, ফায়ারিং স্কোয়াড, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, তার চেয়ে ফাঁসি অনেক বেশি কার্যকরী অপশন।
কেন্দ্র হলফনামায় আরও জানিয়েছে, ইঞ্জেকশন ব্যবহারের যে কথা বলা হচ্ছে, আইন কমিশনের রিপোর্ট তাতে সম্মতি জানালেও বাস্তবে কোনও চিকিৎসক এই ধরনের কাজ করতে সম্মত হন না। তার চেয়েও বড় কথা, যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা ফেল করতে পারে। এমনকী সঠিক শিরা খুঁজে না পাওয়া, ওষুধের ডোজ কতটা হবে তা নির্ধারণ করাও অনেক সময় রোগী বিশেষে কঠিন হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে কত মানুষের বাড়িতে এলপিজি সংযোগ, জানলে চমকে যাবেন]