শি জিনপিংয়ের শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ, মৃত্যুদণ্ড চিনা জননিরাপত্তা বিভাগের মন্ত্রীর
চিনের জননিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রীকে মৃত্যদণ্ডের নির্দেশ বেজিংয়ের এক আদালতের,
চিনের আদালত সান লিজুনকে দুই বছরের অব্যাহতি দেওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তিনি চিনের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ মন্ত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ব্যাপক অঙ্কের দুর্নীতি মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চিনের জননিরাপত্তা বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন সান লিজুন। তাঁর বিরুদ্ধে গত দুই দশক ধরে ১০০ বিলিয়ন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, দুই বছরের অব্যাহতির পর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা যেতে পারে। তবে সেই ক্ষেত্রে সান লিজুন কোনও প্যারলে বাইরে বের হতে পারবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে চিনের সামজিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং য়ের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। চিনের কঠোর আইনে প্রেসিডেন্টের দিকে আঙুল তোলা অন্যতম বড় অপরাধের মধ্যে একটিকে গণ্য করা হয়।
২০২০
সালের
শুরুর
দিকে
করোনা
মহামারী
পর্যালোচনা
করতে
সান
লিজুনকে
শি
জিনপিং
উহানে
পাঠিয়েছিলেন।
করোনা
ভাইরাসের
বিরুদ্ধে
লড়াই
করতে
নেতৃত্ব
দিচ্ছিলেন
সান
লিজুন।
কিন্তু
এরপরেই
তাঁকে
চিনা
প্রশাসন
করোনা
মহামারীর
বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে
প্রথম
সারির
নেতৃত্ব
থেকে
সরিয়ে
দেওয়া
হয়।
তাঁর
বিরুদ্ধে
অনুমোদন
ছাড়া
অনেক
গোপন
তথ্য
সংগ্রহে
রাখার
অভিযোগ
উঠেছিল।
গত
বছর
সান
লিজুনকে
দল
থেকে
বহিষ্কার
করা
হয়েছিল।
দল
থেকে
বহিষ্কার
করার
সময়
দলের
তরফে
সেন্ট্রাল
কমিশন
ফর
ডিসিপ্লিন
ইন্সপেকশন
তাঁকে
দলের
আদর্শ
এবং
বিশ্বাসের
প্রতি
সৎ
না
থাকার
অভিযোগ
নিয়ে
আসা
হয়েছিল।
রাজনৈতিক
উচ্চাকাঙ্খা
ও
দুর্বল
রাজনৈতিক
সততা
তাঁর
বিরুদ্ধে
অভিযোগে
নিয়ে
আসা
হয়েছিল।
সান শি জিনপিংয়ের কর্তৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে দলের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি পার্টির ভিত্তিহীন সমালোচনা করেছিললেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক গুজব ছড়িয়ে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দল ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যক্তিগত অনুসারীদের সঙ্গে করে স্বার্থবাদী গোষ্ঠী গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, শি ১৬ অক্টোবর থেকে তৃতীয় মেয়াদের শাসন শুরু করবে। তাঁর মাটিতে ক্রমেই প্রবল শক্ত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সানের ক্ষেত্রে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি বড় অপরাধানের হদিশ দিয়েছেন। ভালো ব্যবহারের জন্য তাঁর সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন করা যেতে পারে।