ধর্ষণ করে হত্যা চারমাসের শিশুকে! ইন্দোরের সেই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড
এক চার মাস বয়সী শিশু কন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যা করায় নবীন গাড়কে নামে এক ব্য়ক্তিকে দোষী সাব্য়স্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিল ইন্দোরের এক দায়রা আদালত।
সময়ের হিসেবে এ এক অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ রায়। গত মাসে এই ঘটনাটি নিয়ে লজ্জায় মুখ ঢেকেছিল সারা দেশ। মধ্যপ্রদেশের এক চার মাসের এই শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। ২৩ দিনের শুনানি শেষে নবীন গাড়কে নামে সেই ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলো ইন্দোরের এক দায়রা আদালত। প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অ্যাক্ট বা পকসো ধারায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতে সরকারি আইনজীবি আক্রম শেখ মামলাটিকে 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' হিসেবে হিসেবে দেখার জন্য আবেদন করেন। এবং আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য দায়রা আদালতের বিচারপতি বর্ষা শর্মার কাছে অনুরোধ জানান।
ঘটনাটিকে 'অমানবিক' বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি শর্মা। তিনি বলেন, 'শিশুটি এতই ছোট যে কান্নাকাটি ছাড়া অন্য কিছুই জানত না, আর তার সঙ্গেই কি না এমন অমানবিক আচরণ করা হয়েছে!' কাজেই এই অপরাধের জন্য তিনি আর কোনও সাজার কথা ভাবতে পারেননি।
অপরদিকে শাস্তি ঘোষণার পরও ধর্ষকের মধ্যে কোন বিকার দেখা যায়নি। নবীন গাড়কে শুধু বলেছে, 'জেলে যাওয়ার আগে একবার মা ও বোনের সঙ্গে দেখা করতে চাই।'
ঘটনাটি গতমাসের ২০ তারিখের। ওই দিন রাতে শিশুটি ইন্দোরের রাজওয়ারা দুর্গের বাইরের ফুটপাথে, তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিল। শিশুটির বাবা-মা দুর্গের সামনে বেলুন বিক্রি করে। নবীন ওই শিশুকন্যার মায়ের আত্মীয় হয়। ওই রাতে সেও তাদের পাশেই ঘুমোচ্ছিল। ভোরবেলায় সে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় পাশেরই একটি বিল্ডিং-এর ফাঁকা বেসমেন্টে। বাড়িটি ফুটপাথের ওই অংশ থেকে মাত্র ৫০ মিটার মতো দূরে। বেসমেন্টে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। যন্ত্রনায় শিশুটি কাঁদতে থাকে। কিছু তার কান্না থামাতে না পেরে ওই ধর্ষক তাকে হত্যা করে।
সকালে উঠে শিশুটিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার বাবা-মা। ওই বেসমেন্টে কয়েকটি দোকান রয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ পরে এক দোকানদার সেখানে দোকান খুলতে গিয়ে ওই শিশুটির মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। তার গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। মাথা ছিল থেতলানো। আঘাত থেকে পুলিশের অনুমান শিশুটিকে মাটিতে আছড়ে হত্যা করেছিল ধর্ষক নবীন।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে যায় নবীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল এলাকায়। আদালতে নিয়ে যাওয়া বা আদালত থেকে জেলে ফেরানোর সময় স্থানীয়দের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছিল ওই ধর্ষককে।