৬৭ বছর পর আমেরিকায় প্রথম মহিলা বন্দির মৃত্যুদণ্ড, কে এই লিসা মন্টগোমেরি, জেনে নিন ইতিহাস
১৯৫৩ সালের পর এই প্রথমবার মার্কিন সরকার কোনও মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল। কানসাসের বাসিন্দা ৫২ বছরের লিসা মন্টগোমেরিকে বুধবার মার্কিন সরকার মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত ধারাবাহিক মৃত্যুর মধ্যে একটি ছিল এই ফাঁসি। জানা গিয়েছে যে এই মৃত্যুদণ্ডের সাজা বুধবারই দেওয়া হবে লিসাকে। এক মহিলা লিসা

লেথাল ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা
মন্টগোমেরির কাঁধের কাছে দাঁড়িয়ে তাঁর মুখের মাস্ক খুলে দেন এবং তার যদি শেষবারের মতো কিছু বলার থাকে, তাকে বলতে বলে। কিন্তু মন্টগোমেরি খুব ধীরে এবং চাপা গলায় তার প্রতিক্রিয়ায় ‘না' বলে। মন্টগোমারি একটু হলেও নার্ভাস ছিলেন এবং সে তার বুড়ো আঙুল মচকাছিলেন, কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের জন্য অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কাছে মন্টগোমারি তার এই ব্যাকুলতাকে প্রকাশ করেনি। এরপর তাকে সেই মারণ ইঞ্জেকশনটি দেওয়া হয়, যার জেরে মন্টগোমেরি অবশ হয়ে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায়।

বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয়
স্থানীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ সরকারি কর্মীরা কালো রঙের গ্লাভস ও স্টেথোস্কোপ নিয়ে যে ঘরে মন্টগোমারির দেহ রয়েছে সেই ঘরের ভেতর ঢোকেন। মন্টগোমারির হৃদস্পন্দন ও বুক ধুকপুকানি শোনার চেষ্টা করেন তাঁর। এরপর চলে যান। সরকারি আধিকারিকরা ঘরে ঢোকার এক মিনিট আগেই মন্টগোমারির মৃত্যু হয়।

অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে অপহরণ করে খুন
আট মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ববি জো স্টিনেটকে অপহরণ ও শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার অপরাধে ২০০৭ সালে লিসা মন্টগোমেরিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। লিসা মন্টগোমারি প্রথমে স্টিনেটের গর্ভ থেকে ভ্রুণ কেটে নেয় এবং এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই নৃশংস ঘটনার পরও স্টিনেটের গর্ভজাত সন্তান রক্ষা পায় কিন্তু মৃত্যু হয় মায়ের।

মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবনের আবেদন
লিসার আইনজীবী আদালতে তাঁর মক্কেলের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জানান যে লিসা ছোট থেকেই হেনস্থার শিকার হয়েছে, তাকে ক্রমাগত তার সৎ বাবা ও বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করেছে, যার ফলে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছে। মন্টগোমেরির আইনজীবী তাঁর মক্কেলের ক্ষতিগ্রস্ত ও হেনস্থাময় অতীতকে সামনে রেখে ট্রাম্প সরকারের কাছে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। স্টিনেটের কিছু আত্মীয় এই মৃত্যুদণ্ডের সাক্ষী থাকার জন্য এসেছিলেন। লিসা মন্টগোমেরি ১১তম বন্দি, যাকে এই লেথাল ইঞ্জেকশান দেওয়া হল।

শুধু গ্রেফতারিতে হবে না কেডি সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক ইডি, দাবি শুভেন্দুর