করোনাকালে সোশ্যালমিডিয়ায় 'ফেক নিউজ' বেড়েছে তিনগুণ বলছে NCRB রিপোর্ট
করোনাকালে সোশ্যালমিডিয়ায় 'ফেক নিউজ' বেড়েছে তিনগুণ বলছে NCRB রিপোর্ট
কোভিড-১৯
মহামারী
এবং
তা
ঠেকাতে
পরপর
লকডাউন
মানুষকে
শেষ
দু'বছরে
আরও
বেশি
করে
আবদ্ধ
করে
ফেলেছে।
বাড়িতে
বসে
সারা
দুনিয়ার
সঙ্গে
যোগাযোগের
মাধ্যম
হিসেবে
অনেকেই
বেছে
নিয়েছেন
সোশ্যাল
মিডিয়াকে৷
হোয়াটসঅ্যাপার
এবং
টুইটারেতিরা
হাতে
আরও
বেশি
সময়
পেয়ে
পরপর
নানা
ধরনের
খবর
ফরোয়ার্ড
করে
গিয়েছে৷
যার
বড়
অংশই
ভুয়ো
খবর
বলে
জানিয়েছে
ন্যাশনাল
ক্রাইম
রেকর্ডস
ব্যুরো।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) -এর দেওয়া তথ্য অনুসারে সোশ্যাল মাধ্যমে ভুয়ো খবর এবং গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলি - ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে একটি অপরাধ। মহামারী শুরুর পর থেকে এই অপরাধ প্রবণতা ব্যাপকভাবে ২১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে ৫০,০৩৫ টি সাইবার অপরাধের মধ্যে ৫৫৮ টি কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর নতুন কিছু নয়। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার সহ সোশ্যাল মাধ্যমগুলিতে এই ফেক নিউজের দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া৷ সোশ্যাল মিডিয়া উত্থানের যুগে ভয়ঙ্কর ভাবে বাড়ছে ফেক নিউজ৷ ২০১৮ সালে মোট ২৮০ টি ভুয়া খবরের অভিযোগে মামলা হয়েছিল৷ সেখান থেকে ২০১৯ সালে ৪৮৬ এবং মহামারী কালীন লকডাউনে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২৭টি তে। ২০১৯ সালের তুলনায় দেশে সাইবার অপরাধের সংখ্যা ১১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি অগাস্টের শেষের দিকে প্রকাশিত একটি স্বাধীন গবেষণায় আরও নিঁখুত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সমীক্ষাটিতে বলা হয়েছে যে সারা বিশ্বের মোট ভুয়ো খবরের ছটির একটি ভারত থেকে তৈরি করা। এবং শেষ এক বছর ও মহামারী এবং লকডাউনের মাসগুলোতে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এর অন্যতম কারণ হল ভারতে প্রচুর মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন৷ এবং ইন্টারনেট শিক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন ধরণের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন।
এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে, তেলেঙ্গানায় সর্বাধিক ২৭৩ টি ভুয়ো খবর ছড়ানোর মামলা হয়েছে৷ এবং পরপর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, তামিলনাড়ু (১৮৮ টি ভুয়ো খবরের মামলা), উত্তর প্রদেশ (১৬৬টি ভুয়ো খবরের মামলা)। হায়দরাবাদ ২০৮টি ভুয়ো খবরের মামলা, চেন্নাইয়ো (৪২টি) এবং দিল্লিতে (৩০টি ) ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। । সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে, সর্বাধিক মামলা উত্তরপ্রদেশে (১১০৯৭) তারপর কর্ণাটক (১০৭৪১), মহারাষ্ট্র (৫৪৯৬), তেলেঙ্গানা (৫২০০) এবং আসামে (৩৫৩০টি) হয়েছে।