শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির বিতর্কিত জমি মামলার রায় চার মাসের মধ্যে দিতে হবে, মথুরা আদালতকে নির্দেশ হাইকোর্টের
মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট ও অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে শাহী ইদগাহ মসজিদের মামলার নিষ্পত্তি মথুরা আদালতকে আগামী চার মাসের মধ্যে করতে হবে বলে এলাহাবাদ কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। শাহি ইদগাহ মসজিদ এলাকার মালিকানা দাবি করে
মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট ও অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে শাহী ইদগাহ মসজিদের মামলার নিষ্পত্তি মথুরা আদালতকে আগামী চার মাসের মধ্যে করতে হবে বলে এলাহাবাদ কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। শাহি ইদগাহ মসজিদ এলাকার মালিকানা দাবি করে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংগঠন।
আর্কিওলজিক্যাল
সার্ভে
অফ
ইন্ডিয়া
শ্রীকৃষ্ণ
জন্মভূমি
ও
শাহী
ইদগাহ
মসজিদ
এলাকা
পরীক্ষা
করে
দেখেছেন।
সোমবার
এলাহাবাদ
হাইকোর্টের
বিচারপতি
পীযুশ
আগরওয়াল
ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ
বিরাজমান
ও
অন্যান্য
কয়েকটি
সংগঠনের
ভিত্তিতে
এই
নির্দেশ
দিয়েছেন।
এলাহাবাদ
হাইকোর্টের
তরফে
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছে
আগামী
চার
মাসের
মধ্যে
শ্রীকৃষ্ণ
জন্মভূমি
সঙ্গে
শাহী
ইদগাহ
মসজিদের
মামলার
রায়
দিতে
হবে।
আবেদনে
দাবি
করা
হয়েছে,
শাহী
ইদগাহ
মসজিদ
এলাকায়
আগে
একটি
মন্দির
ছিল।
সেই
মন্দিরটি
ভেঙে
মসজিদ
তৈরি
করা
হয়েছে।
ইতিমধ্যে
এই
বিষয়ে
আর্কিওলজিক্যাল
সার্ভে
অফ
ইন্ডিয়া
পরীক্ষা
করেছে।
তাদের
সমীক্ষার
ভিত্তিতে
মথুরা
আদালতে
এই
বিষয়ে
রায়
দেওয়ার
নির্দেশ
দিয়েছে
এলাহাবাদ
হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত,
২০২০
সালের
সেপ্টেম্বর
মাসে
শাহী
ইদগাহ
মসজিদ
সরিয়ে
১৩.৩৭
একর
জমি
হস্তান্তরের
আবেদন
করে
শ্রীকৃষ্ণ
জন্মভূমি
ট্রাস্ট।
শ্রীকৃষ্ণ
জন্মভূমি
ট্রাস্টের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
ওই
১৩.৩৭
একর
জমিতেই
কৃষ্ণের
জন্ম
হয়েছিল।
দাবি
করা
হয়,
শ্রীকৃষ্ণের
প্রকৃত
জন্মস্থানের
অনেক
কাঠামো
শাহী
ইদগাহ
মসজিদের
দেওয়ালে
রয়েছে।
মসজিদের
দেওয়ালে
থাকা
একাধিক
নিদর্শন
থেকে
প্রমানিত
হয়,
সেখানে
আগে
একটি
মন্দির
ছিল।
মন্দিরটি
ভেঙে
মসজিদ
করা
হলেও
মূল
কাঠামো
এক
রয়েছে।
তাই
মন্দিরের
নিদর্শন
মসজিদে
রয়ে
গিয়েছে।
মথুরার
বিতর্কের
কেন্দ্র
বিন্দু
হয়ে
দাঁড়িয়েছি
শাহী
ইদগাহ
মসজিদটি।
১৯৬৮
সালের
একটি
চুক্তিপত্র
অনুসারে
এই
ইদগাহের
জমির
ওপর
শ্রীকৃষ্ণ
জন্মভূমি
ট্রাস্টের
কোনও
অধিকার
নেই।
সেই
জমির
দখলের
দাবিতেই
আদালতের
দ্বারস্থ
হয়েছে
শ্রীকৃষ্ণ
জন্মভূমি
ট্রাস্ট
ও
অন্যান্য
কয়েকটি
সংগঠন।
অন্যদিকে,
মথুরার
এক
আইনজীবী
মহেন্দ্র
প্রতাপ
সিং
জুন
মাসে
অভিযোগ
করেন,
মথুরার
একটি
মন্দির
থেকে
ঔরাঙ্গজেব
ভগবান
কৃষ্ণের
মূর্তি
সরিয়ে
জাহানারার
মসজিদের
সিঁড়ির
নীচে
চাপা
দিয়ে
রেখেছিলেন।
বর্তমানে
ওই
মসজিদ
জামা
মসজিদ
নামে
পরিচিত।
প্রসঙ্গত,
প্রায়
দুই
হাজার
বছর
ধরে
মথুরায়
শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমিতে
পুজো
হওয়ার
প্রমাণ
পাওয়া
যায়।
বিদেশি
পর্যটকদের
পুঁথিতে
এই
মন্দিরের
হদিশ
পাওয়া
যায়।
মুঘল
সম্রাট
ঔরাঙ্গজেবের
নির্দেশে
মন্দিরটি
ধ্বংস
করে
দেওয়ার
২০
বছর
আগে
ভারতে
এসেছিলেন
ফরাসি
ব্যবসায়ী
জ্যঁ
ব্যপ্তিস্তে।
তাঁর
ভ্রমণ
কাহিনীতে
ভারতে
তিনটি
উল্লেখ
যোগ্য
মন্দিরের
তালিকায়
পুরীর
জগন্নাথ,
বারাণসীর
বিশ্বনাথ
মন্দিরের
পাশাপাশি
মথুরার
মন্দিরের
কথা
উল্লেখ
ছিল।