ইভিএম কারচুপির অভিযোগ! তদন্তের দাবিতে মথুরায় সরব উত্তরপ্রদেশের সপা–বসপা কর্মীরা
সোমবার যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে শেষ হয়েছে সপ্তম দফার বিধানসভা নির্বাচন। ১০ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনা। আর মঙ্গলবারই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নিরাপত্তা নিয়ে সরব হতে দেখা গ
সোমবার যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে শেষ হয়েছে সপ্তম দফার বিধানসভা নির্বাচন। ১০ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনা। আর মঙ্গলবারই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নিরাপত্তা নিয়ে সরব হতে দেখা গেল সমাজবাদী পার্টি (সপা) ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বসপা) কর্মীদের।
বৃহস্পতিবারের গণনার জন্য ইভিএম মেশিনগুলি সিসি ক্যামেরার অন্তর্গত রাখা হয়েছে মথুরার মাণ্ডি কমিটিতে। মঙ্গলবার বসপা ও সপার কর্মীরা অভিযোগ করেন যে কোনও পরিচয়পত্র ছাড়াই মাণ্ডি কমিটিতে ঢুকে পড়েছিলেন এক কর্মী।
উভয় দলের দুই কর্মী আরও অভিযোগ করেন যে ওই ব্যক্তি ইভিএম স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করেছেন এবং এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেন উভয় দলের কর্মী–সমর্থকরা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সপা কর্মী সঞ্জয় লাথের বলেন, 'নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এখানে কেউ পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকবেন না।
কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে এক ব্যক্তি পরিচয়পত্র ছাড়া মাণ্ডি কমিটিতে ঢুকেছিলেন এবং দাবি করেছেন যে তিনি এখানে কম্পিউটারের সিস্টেম সেট আপ করার জন্য এসেছেন। কোনও সরকারি কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে ছিল না। তাঁর কাছে কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। ওই ব্যক্তি এখানে চার ঘণ্টা ধরে ছিলেন এবং তার কাছে যথেষ্ট সময় ছিল ইভিএম মেশিনে কারচুপি করার। জেলা প্রশাসকের উচিত এই ঘটনার তদন্ত করার।’
যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ভোট গণনার সময় ইভিএমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কম্পিউটার সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য মাণ্ডি কমিটির ভিতরে গিয়েছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি কানুনগো বলেন, 'আমি এখানে এসেছি কম্পিউটারের সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য। আমি যখন মাণ্ডি কমিটি থেকে বের হই তখন আমায় বাইরে থাকা এই লোকেরা ধরে ফেলেন, তাই আমি এসডিএমকে ডাকি এখানে আসার জন্য। আমার কাছে পরিচয়পত্র রয়েছে এবং সরকারি আধিকারিকদের অনুমতিও।’ পুলিশও জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি কম্পিউটার সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য মাণ্ডি কমিটিতে গিয়েছিলেন এবং তিনি পরিচয়পত্র বহন করতে ভুলে যান। সপা–বসপার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত, বুধবার হস্তিনাপুরের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী যোগেশ বর্মা নিজেই মেরঠের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে চোখে বাইনোকুলার লাগিয়ে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। মেরঠের হস্তিনাপুর কেন্দ্রের তিনটি জেলার ইভিএম এই বিশ্ববিদ্যালয়েই রাখা হয়েছে। এখানেই হবে গণনা।
অন্যদিকে সপা প্রার্থী যোগেশ বর্মা বলেন, 'সপা প্রধানের পক্ষ থেকে আদেশ এসেছে যে ইভিএম স্ট্রংরুমের ওপর কড়া নজর রাখতে হবে এবং শাসক দলের অন্যান্য পদক্ষেপের ওপর নজর রাখা জরুরি।’
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ইলেকট্রনিক ভোটিং–এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে অখিলেশ যাদব নির্বাচন কমিশন-এর আধিকারিকদের ইভিএমে কারচুপির জন্য অভিযুক্ত করেন এবং দাবি করেন যে তিনি আর নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করেন না