'অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ চলছে, পরেরটা মথুরা', টুইট উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতার
'অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ চলছে, পরেরটা মথুরা', টুইট উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতার
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন। যথারীতি কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে নারীসুরক্ষা, একাধিক ইস্যুতে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে সেই নির্বাচনের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাল হয়ত দিয়েই ফেললেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য৷ বললেন, 'মথুরায় মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।'
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করেন, গোটাদেশে বিজেপির উত্থানের অন্যতম কারণ রামমন্দির আন্দোলন । ন'য়ের দশকের শুরু থেকেই রামমন্দির ইস্যুতে উঠেপড়ে লেগেছিল বিজেপি, সারাদেশে হিন্দুত্ববাদের হাওয়া তুলতে এবং ভবিষ্যতে দলকে দিল্লির মসনদে বসাতে সাহায্য করেছিল এই আন্দোলন। বরাবরই কংগ্রেসি ঘরানার পপুলিস্ট রাজনীতির পথে না হেঁটে এভাবে জনগণের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাবরি মসজিদের স্থানে এখন তৈরি হচ্ছে রামের মন্দির। তবে এখানেই থেমে থাকতে চায় না বিজেপি। এর আগে বহুবার গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের মুখে শোনা গিয়েছে, 'অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়'৷ অর্থাৎ অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবার কাশী ও মথুরা পুনরুদ্ধার করা হবে৷
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেন সেই আবেগই ফের উস্কে দিলেন কেশব প্রসাদ মৌর্য৷ বিজেপি নেতা ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করেন, 'অযোধ্যা কাশীতে বিরাট মন্দির নির্মাণ চলছে। মথুরার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছি আমরা।' শুধু তাই নয়, ট্যুইটটিকে নিজের ওয়ালে একেবারে পিন করেও রাখেন কেশব৷ উল্লেখযোগ্যভাবে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তারিখের ৫ দিন আগে এই ট্যুইট করলেন কেশব৷ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্যুলিস্যাৎ করে দিয়েছিলেন কারসেবকরা। সেই ঘটনার ২৯ বছর পূর্তির আগে এই ট্যুইট নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ৷
অন্যদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মথুরায় অবস্থিত ১৭ শতাব্দীর শাহী মসজিদই আদতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। তাই তাঁরা সেখানে শ্রীকৃষ্ণের একটি মন্দির বানানোর আবেদন জানিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা জানিয়েছে, তারা সেখানে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তিও স্থাপন করবেন৷ আরও একটি হিন্দু সংগঠন নারায়ণী সেনাও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, মসজিদ সরানোর দাবিতে তারা বিশ্রাম ঘাট থেকে কৃষ্ণ জন্মস্থান অবধি মিছিল বের করবে। তেমনটা হলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। তাই যথারীতি সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷