
যোগী রাজ্যে মথুরায় প্রথম মহিলা পুরোহিত বিখ্যাত রাধা রানির মন্দিরে! আপত্তি জানিয়ে পরিবার গেল আদালতে
যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশের মথুরা থেকে প্রায় ৪৭ কিমি দূরের বিখ্যাত বারসানা ভিত্তিক রাধারানির মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের পদে বসে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন আশি বছরের মায়া দেবী। তবে মে মাসে প্রথম মহিলা পুরোহিত হিসেবে কাজ শুরুর সময় থেকেই অবশ্য সমস্যার শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেরল, কর্নাটকের মতো রাজ্যে কিছু মহিলা পুরোহিত হিসেবে কাজ শুরু করলেও উত্তর ভারতে এখনও এটি বিরল।

আইনি বিবাদ চলছে
মথুরায় বাঁকে বিহারী মন্দিরের পরে এই রাধা রানির মন্দির দ্বিতীয় বড় উপসনালয় হিসেবে চিহ্নিত। মন্দিরটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। সেই মন্দিরে কোনও মহিলার পুরোহিত হওয়ার অধিকার আছে কিনা তা নিয়ে আইনি বিবাদ শুরু হয়েছে ওই মহিলা পুরোহিতের পরিবারে। এই বিবাদের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা একদিকে যদি মহিলার পক্ষেই রায় যায়, তাহলে তা একচেটিয়া পুরুষ পুরোহিততন্ত্রের অবসান ঘটবে, অন্যথায় ফের মহিলারা পিছিয়ে পড়বেন। প্রসঙ্গত আদালতের রায়েই নিজের বৃহত্তর পরিবারের সদস্যের থেকে পুরোহিতের দায়িত্ব পেয়েছেন মায়া .দেবী।

পরিবারই বিপক্ষে
মায়া দেবী সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন, তিনি মহিলা। আর তার পরিবারে কেউ নেই। সেই কারণে তাকে টার্গেট করা সহজ। ১৯৯৯ সালে তাঁর স্বামী হরিবংশলাল গোস্বামী মারা যান। সেই জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মায়া দেবী হরিবংশলাল গোস্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁর কোনও সন্তান না থাকায় মন্দিরের প্রার্থনা পরিচালনার সব অধিকার মায়া দেবীর হাতে যায়। সেই পর্যন্ত কোনও অসুবিধাই হয়নি। তবে মন্দিরে পুরোহিতের দায়িত্ব পাওয়ার ঘোষণা হতেই হরিবংশ গোস্বামীর বর্ধিত পরিবারের তরফে মায়া দেবীকে প্রতারক বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, মায়া দেবীর প্রয়াত স্বামীর হরিবংশলাল গোস্বামীর ভাইপো এই পদের উত্তরাধিকারী। প্রতারণার মাধ্যমে মায়া দেবী ওই পদ দখল করেছেন বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।

মহিলা পুরোহিত মায়া দেবীর ব্যাখ্যা
বর্ধিত পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে মায়া দেবী জানিয়েছেন, মন্দিরের পুরোহিতের আসন নেওয়াটা আর অধিকারের মধ্যেই পড়ে। কেননা তিনি গত ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে রাধা রানি দেবীর সেবা করে আসছেন। যেহেতু রাধা রানির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই তিনি এই দায়িত্ব অন্য কাউকে কেন দেবেন, প্রশ্ন করেছেন মায়া দেবী।

পরিবর্তন এনেছেন মন্দিরে
তবে প্রধান পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আশা দেবী মন্দিরে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। সাধারণ মানুষ বলছেন, আশা দেবী এখন ভক্তদের মূর্তির কাছাকাছি যেতে দেন। স্থানীয় পুরোহিতদের একাংশ বলছেন. মায়া দেবীর পুরোহিত হওয়ার পিছনে ভুল কিছু নেই। সমাজ যদি হরিবংশ গোস্বামীর স্ত্রীকে পুরোহিত হিসেবে মেনে নেয়, তাহলে তাঁর সেখানে থাকার অধিকার রয়েছে। আর থিনি পুরোহিত তিনি নিজেও একজন গোস্বামী।
প্রতীকী ছবি
পুজোর আগে নিয়োগে বড় খবর, আরও ৬৫ জনকে চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের