মায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও মানবিকতার নজির গড়লেন মথুরার অ্যাম্বুলেন্স চালক
মানবিকতার নজির গড়লেন মথুরার অ্যাম্বুলেন্স চালক
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের মহামারির সঙ্গে লড়ছে গোটা দেশ। একদিকে যখন অক্সিজেন, ওষুধ নিয়ে দেশে কালো বাজারি চালাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ ঠিক তখনই খুব অল্প সংখ্যক মানুষ নিজেদের শত সমস্যা থাকতেও কর্তব্য থেকে বিরত থাকতে পারেন না। তেমনই একজন হলেন প্রভাত যাদব, যিনি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। প্রতিদিনের মতোই তিনি তাঁর কাজ অনুযায়ী কোভিড রোগীদের মথুরার হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিলেন, ঠিক সেই সময়ই তাঁর পরিবার তাঁকে তাঁর মা মারা যাওয়ার দুঃসংবাদ দেয়। এই খবর পাওয়ার পরও যাদব তাঁর কাজ থেকে বিরত না থেকে অনবরত করোনা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে থাকেন। কারণ যাদবের মনে হয়েছে যে তাঁর বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ। যাদব এদিন মোট ১৫ জন কোভিড রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন।
এক
সর্বভারতীয়
সংবাদমাধ্যমকে
যাদব
বলেন,
'আমি
খবরটা
শুনে
কেঁপে
উঠেছিলাম,
কিন্তু
আমায়
নিজের
ওপর
নিয়ন্ত্রণ
রাখতে
হয়েছে
এবং
কাজ
চালিয়ে
যেতে
হয়েছে।
আমি
যেটা
করি
তা
ছাড়তে
পারিনি।
আমরা
যে
কাজটা
করি
তা
খুবই
জটিল
কাজ।’
ওইদিন
যাদব
তাঁর
কাজ
শেষ
করে
২০০
কিমি
পাড়ি
দিয়ে
নিজের
গ্রাম
মেইনপুরিতে
পৌঁছান।
এরপর
তিনি
তাঁর
মায়ের
শেষকৃত্য
সম্পন্ন
করে
পরের
দিনই
ফের
কাজে
যোগ
দেন।
১০৮ নম্বরে ফোন করে যে সব অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক হলেন যাদব, তিনি প্রায় ৯ বছর ধরে এই কাজ করছেন এবং গত বছরের মার্চ মাস থেকে কোভিড রোগীদের বহন করে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে গত বছর করোনা কেসের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পাওয়ার জন্য তিনি কিছুটা বিশ্রাম পেলেও এ বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় ওয়েভে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার যাদবের কাজ ফের বেড়ে যায়।
কলকাতায় ধেয়ে আসছে টর্নেডো! ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মাঝেই বিপর্যয়ের পূর্বাভাস, সতর্ক করলেন মমতা
সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদবের বাবা গত বছরের জুলাইতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তখনও যাদব বাড়ি ফিরে বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পরের দিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ১০২ ও ১০৮ অ্যাম্বুসেন্স পরিষেবার প্রোগ্রাম ম্যানেজার অজয় সিং জানিয়েছেন যে যাদবকে কিছুদিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য, কিন্তু যাদব সেই ছুটি না নিয়ে কাজে দ্রুত ফিরতে চান। রাজ্যজুড়ে লকডাউনের কারণে সিং যাদবের বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। তাঁর মতে যাদব তাঁর কাজের প্রতি খুবই নিষ্ঠাবান। যাদব বলেন, 'আমার মা মারা গিয়েছেন। আমি যদি কিছু মানুষকে বাঁচাতে পারি তবে আমার মায়ের গর্ব বোধ হবে।’