বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কি ফের ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় ফিরবেন! এবার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন মহিলারাই
২০১৪ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে যখন বিজেপি জিতেছিল, তখন কেউই জানতেন না যে রঘুবর দাস ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কারণ, তিনি বহিরাগত ছিলেন।
২০১৪ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে যখন বিজেপি জিতেছিল, তখন কেউই জানতেন না যে রঘুবর দাস মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কারণ, তিনি বহিরাগত ছিলেন। তিনি আদতে ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা। মোদী-শাহের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই তাঁর জুটেছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ, এবার কিন্তু তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নির্ভর করছে রাজ্যের মহিলা ভোটারদের উপর।
ফের রঘুবর দাস, নির্ণায়ক মহিলারাই
৩০ নভেম্বর থেকে ২০ শে ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ দফার বিধানসভা নির্বাচন হবে ঝাড়খণ্ডে। এখন প্রশ্ন আবারও কি বিজেপির রঘুবর দাস ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসবেন? নাকি এবার বিজেপির সূর্য অস্তে যাবে? উত্তর পেতে তাকিয়ে থাকতে হবে মূলত ঝাড়খণ্ডের মহিলা এবং উপজাতি ভোটারদের দিকে।
নীতীশের দেখানো পথে মহিলাদের প্রতি যত্নবান
২০১৫ সালের প্রতিবেশী বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে জেডিউ নেতা নীতীশ কুমারের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিলেন মহিলা ভোটাররা। এবার সেই পরীক্ষা দিতে চলেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবেন মহিলারাই। সেইহেতু মহিলা ভোটারদের প্রতি যত্নবান হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোটার হিসাবে মহিলাদের বিষয়
নীতীশ কুমার মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিলেন। তার ফল পেয়েছিলেন হাতে নাতে। তারপর মহিলাদের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছিলেন তিনি। এর মাধ্যমে নীতীশ কুমার একটি পৃথক নির্বাচনী পথ তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ২০১৫-তে সেইমতো মহিলা ভোটাররা মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। তারপর থেকেই প্রত্যেক সরকারই মহিলাদের গুরুত্ব দিচ্ছে।
মহিলা ভোটের লক্ষ্যে মোদী-রাহুল
প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্টতই এলপিজি সংযোগের জন্য উজ্জ্বলা যোজনা, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতাধীন টয়লেট নির্মাণ এবং বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও অভিযানের কথা তুলে ধরেছেন। রাহুল গান্ধী-সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা রাজ্য বিধানসভা ও সংসদে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ কোটা বাস্তবায়নের দাবি করেছেন।
ঝাড়খণ্ডে নির্ধারিত ফ্যাক্টর
তেমনই ঝাড়খণ্ডেও মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের টার্গেট করে নারী কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি বিশেষ করে প্রচার করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের মোট ২.২৬ কোটি ভোটারদের মধ্যে ১.০৮ কোটি মহিলা। এখানে একটি মজার বিষয় হ'ল ঝাড়খণ্ডে পুরুষ ভোটারদের তুলনায় মহিলাদের অনুপাত অধিকতর বেশি।
পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোট বেশি
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে ভোটারদের সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের সময় দেখা গিয়েছে পুরুষদের তুলনায় বেশি মহিলা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় এক-চতুর্থাংশে পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোট শতাংশ বেশি ছিল। তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত ২৮টি বিধানসভা আসনে মহিলারা পুরুষের চেয়ে বেশি। ফলে মহিলারা ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য নির্ণায়ক হয়ে উঠেছেন।