ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে যে আসনগুলি
প্রায় একমাস ধরে চলা ঝআড়খণ্ড নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় মোট ৮১টি আসনে। আসনের নিরিখে ছোট্ট হলেও রাজনৈতিক তাৎপর্যে ঝাড়খণ্ডের গুরুত্ব এখন অনেকটা। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশাল জয়ের পর অনুষ্ঠিত হওয়া মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। এদিকে ঝাড়খণ্ড সেই দিক দিয়ে বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ১৪টির মধ্যে ১১টিতেই জিতেছিল বিজেপি।
বহুমুখী লড়াই
এদিকে বিজেপির রঘুবর দাসকে গদি বাঁচাতে হলে বা জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটকে ক্ষমতা দখল করতে হলে কয়েকটি আসনের উপর নজর রাখতেই হবে। ঝাড়খণ্ডের লড়াইয়ে রয়েছে অনেকগুলি দল। নিজেদের ক্ষেত্রে এই প্রতিটি দলই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। বিজেপি, কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও রাজ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা - প্রজাতান্ত্রিক, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, রাষ্ট্রীয় জনতা দল।
বাকি দেশের ইস্যু থেকে আলাদা ঝাড়খণ্ড
ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন অবশ্য বাকি দেশের নির্বাচন থেকে একটু আলাদা। এখানে বাকি হিন্দি বলয়ের মতো রাম মন্দির বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার অতটা প্রভাব ফেলে না। রাজ্যে মোট ২৯ শতাংশ তফশিলি জাতির ভোটার। বিজেপি চাইছে বাকি ৭১ শতাংশ ভোটারের শিংহভাগ যেন তাদের ঝুলিতে আসে। হরিয়ানাতে এরকমভাবে অ-জাট ভোট বিজেপির ঝুলিতে আসে।
কে লড়ছে কোথায়?
রাজ্যে হেভিওয়েটদের মধ্যে জামশেদপুর পূর্ব থেকে লড়ছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন তাঁর মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য সরয়ু রয়। এছাড়া ২০১৪-তে হেরে যাওয়া অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রান সুদেশ মাহতো লড়ছেন সিলি কেন্দ্র থেকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেভিএম প্রধান বাবুলাল মারান্ডি লড়ছেন ধানওয়ার আসন থেকে। এদিকে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন লড়ছেন দুটি আসন থেকে।
আসন বন্টণ
২০১৪ সালে ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সরকার গঠন করে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাহায্যে। বিজেপি নিজে ৩৭টি আসন পেয়েছিল আর অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ঝুলিতে এসেছিল ৫টি। তবে এই বারে সরকারি ভাবে জোট না ভাঙলেও ১৭টি আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে দল। বিজেপি রাজ্যে ৮১টির মধ্যে ৭৯টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। বাকি দুটি আসনের একটিতে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রধান সুদেশ মাহতোকে ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। অপরটিতে একজন নির্দলকে সমর্থন জানিয়েছে দল।
বিরোধী জোটের পাল্লা ভারী
এদিকে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম-এর নেতৃত্বে কংগ্রেস ও আরজেডি একজোট হয়ে বিজেপিকে ঠেকাতে উঠএ পড়ে লেগেছে। জেএমএম রাজ্যের ৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, কংগ্রেস ৩১টি ও আরজেডি ৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই বিরোধী জোটের পাল্লা ভারী বলে জানিয়েছে।