ঝাড়খণ্ডে একক বৃহত্তম দল বিজেপি, রঘুবর দাস কি পারবেন 'অভিশাপ' ভাঙতে?
এখনও পর্যন্ত ভোট গণনার যা পরিস্থিতি, তাতে বিজেপি ঝাড়খণ্ডে একক বৃহত্তম দল। কিন্তু সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি পারবেন অভিশাপ ভাঙতে। রাজ্য গঠনের পর ১৯ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ভোট গণনার যা পরিস্থিতি, তাতে বিজেপি ঝাড়খণ্ডে একক বৃহত্তম দল। কিন্তু সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি পারবেন অভিশাপ ভাঙতে। রাজ্য গঠনের পর ১৯ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোনও মুখ্যমন্ত্রীই পরপর দুবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। বিষয়টিকে অনেকেই অভিশাপ বলেও বর্ণনা করছেন। ১৯৯৫ থেকে একটানা ঝাড়খণ্ড পূর্ব থেকে জিতে আসছেন রঘুবর দাস।
১৯ বছরে ৬ মুখ্যমন্ত্রী
ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠন হয়েছিল ২০০০ সালের ১৫ নভেম্বর। তারপর থেকে ১৯ বছর অতিক্রান্ত। এই সময়ের মধ্যে ঝাড়খণ্ডে তিনবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। ২০১৯-এর নির্বাচন নিয়ে চতুর্থবার। ঝাড়খণ্ড পেয়েছে ছয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এঁরা হলেন, বাবুলাল মারান্ডি, অর্জুন মুণ্ডা, শিবু সোরেন, মধু কোড়া, হেমন্ত সোরেন এবং রঘুবর দাস।
শিবু সোরেন
একমাত্র রঘুবর দাসকে বাদ দিলে বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের কেউই পরপর দুবার নির্বাচনে জিততে পারেননি। ২০০৮ সালের ২৭ অগাস্ট তৎকালীন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া পদত্যাগ করেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শিবু সোরেন। ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হত। কিন্তু তিনি তামার আসনে রাজা পিটারের কাছে ৮,৯৭৩ ভোটে পরাজিত হন। মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেন শিবু সোরেন।
২০১৪-র নির্বাচনে হেরে যান চার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই
২০১৪-র নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী ইতিহাসে যেন সুনামি বয়ে অনেছিল। কেননা ওই নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ৪ জন পরীজিত হয়েছিলেন। ২০১৪-র নির্বাচন ঝাড়খণ্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি ধানওয়ার এবং গিরিডি আসন থেকে লড়াই করেছিলেন। গিরিডি আসনে তিনি বিজেপির নির্ভয় সাহাবাদীর কাছে পরাজিত হন। অন্যদিকে ধানওয়ার আসনে তিনি সিপিাই এমএল-র রাজ কুমার যাদবের কাছে পরাজিত হন। এবার সেই ধানওোয়ার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মারান্ডি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ঝাড়খণ্ডের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তুু ২০১৪-র নির্বাচনে খারসাওয়ান আসন থেকে জেএমএমএ-র দশরথ ঘাগরাইয়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া মাঝগাঁও আসন থেকে জেএমএম-এর নিরল পূর্তির কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
২০১৪ সালে একটি আসনে হেরে গিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। দুমকা এবং বারহাইত আসন থেকে লড়াই করছিলেন। বারহাইত আসন থেকে জয়ী হলেও দুমকা আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
রঘুবর দাস কি পারবেন অভিশাপ ভাঙতে?
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এগিয়ে থাকা রঘুবর দাস কি পারবেন সেই অভিশাপ ভাঙতে? জামশেদপুর পূর্ব আসনে তিনি কঠিন লড়াইয়ের মুখে। একদিনে যেমন পুরনো সহযোগী সরয়ূ রাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন, কংগ্রেস মুখপত্র গৌরভ বল্লভ। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির যে কটি নিশ্চিত আসন, তার মধ্যে পড়ে জামশেদপুর পূর্বও। ১৯৯৫ সাল থেকে একটানা এই আসনে জয়ী হয়ে আসছেন রঘুবর দাস।