২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার কলেজ স্কোয়ারে জলে তলিয়ে যাওয়া সাঁতার প্রশিক্ষকের দেহ, কারণ জানলে শিউরে উঠবেন
কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার শেখাতে এসে জলে তলিয়ে যাওয়া কাজল দত্তর দেহ উদ্ধার হল দুর্ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে।
কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার শেখাতে এসে জলে তলিয়ে যাওয়া কাজল দত্তর দেহ উদ্ধার হল দুর্ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে। শুক্রবার সকালে সাঁতার কাটতে নেমে আর জল থেকে ওঠেননি কাজলবাবু। সেই ঘটনার এতক্ষণ পরে দেহ উদ্ধার হয়েছে শনিবার ভোরের কিছু আগে।
সুইমিং পুলের ভিতরে কাঠের কাঠামো জলের মধ্যে তৈরি করে রাখা হয়েছিল। সেই কাঠামোর ভিতরেই কাজলবাবুর দেহ আটকে ছিল। সেখান থেকে টেনে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুইমিং পুলের জল বেশ ঘোলা। ফলে দৃশ্যমানতা কম থাকায় ভিতরে কি রয়েছে তা এতটুকু বোঝা যায় না।
এই অবস্থায় যেকোনও কারণেই হোক কাজলবাবু তলিয়ে গেলে তল্লাশি করেও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া সুইমিংপুলের ভিতরে কীভাবে কাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছে জলের ভিতরে তা নিয়েও একে অন্যকে দোষারোপের পালা চলছে। সকলে দোষ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।
বিভিন্ন ক্লাব এখানে জায়গা নিয়ে সাঁতার শেখায়। তেমনই একটি ক্লাবের তরফে ঢালাইয়ের জন্য কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। সুইমিং পুলি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছিল যাতে জল বেশি না ছাড়া হয়। কাঠামো খুলে নিলে তারপর জল ছাড়তে বলা হয়। তবে অভিযোগ, ক্লাবটি যেমন সময়ে কাঠামো খোলেনি, তেমনই জল ছেড়ে সুইমিং পুল ভর্তি করে দেওয়া হয়। যার জেরে বিপত্তি।
বৌবাজার ব্যায়াম সমিতির সুইমিং ক্লাবের সদস্য ছিলেন কাজল দত্ত রামনাথ বিশ্বাস লেনের বাসিন্দা ছিলেন। শুক্রবার ভোরে সাঁতার কাটার জন্য তাঁকে জলে নামতে দেখেন ক্লাবের সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক সাঁতার কেটে তিনি উঠে আসতেন পুল থেকে। তবে এদিন তা না হওয়ায় খোঁজখবর শুরু হয়। পুকুরের পাড়ে কাজলবাবুর তোয়ালে এবং ক্লাবঘরে তাঁর ব্যাগ রাখা ছিল। এরপরে ক্লাবের তরফে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে উদ্ধারকার্য শুরু করে।
অবিবাহিত কাজল দত্ত একজন দক্ষ জাতীয় স্তরের সাঁতারু ছিলেন। লাইফ সেভার হিসাবেও তাঁর দক্ষতা ছিল। দীর্ঘদিন এই সুইমিং পুলে সাঁতার শিখিয়েছেন তিনি। অন্যদের ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন। তবে শুক্রবার নিজেই জলে চিরতরে তলিয়ে গেলেন।