পোলিওতে অকেজো পা, প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে নর্থ চ্যানেল জয়ের পথে এই যুবক
পোস্ট পোলিও সমস্যার জেরে ডান পা'য়ের প্রায় ৮০% অকেজো। কিন্তু তাতে কী! কোনো প্রতিবন্ধকতাই যে তাকে হার মানাতে পারেনি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হেলায় হারিয়ে সে অটুট নিজের লক্ষ্যে। এই অদম্য জেদ আর হার না মানা মানসিকতা পাথেয় করেই জয় করেছেন ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা চ্যানেল।
আঠারো বছরের সাঁতার জীবন
তাঁর
আঠারো
বছরের
সাঁতার
জীবনের
সাফল্যের
ঝুলিতে
রয়েছে
অজস্র
সম্মান,
অজস্র
পদক।
রয়েছে
বহু
রেকর্ড।
ইংলিশ
চ্যানেল,
ক্যাটলিনা
চ্যানেলের
পর
এবার
বিশ্বের
অন্যতম
ইউরোপের
নর্থ
চ্যানেল
জয়ের
স্বপ্ন
নিয়ে
ইউরোপ
পাড়ি
দিচ্ছেন
হাওড়ার
রিমো
সাহা।
সোমবারই
তিনি
ইউরোপের
উদ্দেশ্যে
পাড়ি
দিচ্ছেন।
হাওড়ার
সালকিয়ার
বাসিন্দা
রিমো
শারীরিকভাবে
বিশেষ
সক্ষম।
পোস্ট পোলিও সমস্যা
পোস্ট পোলিও সমস্যার জেরে রিমোর ডান পা'য়ের ৮০% প্রায় অকেজো। সেই নিয়েই তিনি ইউরোপের নর্থ চ্যানেল পারাপারের স্বপ্ন নিয়ে নামছেন। রিমো জানিয়েছেন, নর্থ আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যস্থিত চ্যানেলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮-৪২ কিলোমিটার। সুমেরু মহাসাগরের ভীষণ ঠান্ডা জল আর জেলিফিশের আধিপত্য এই চ্যানেলের প্রধান সমস্যা। তিনি জানান, সাঁতার শুরু হবে নর্থ আয়ারল্যান্ডের ডোনাগারি থেকে। শেষ হবে স্কটল্যান্ডে। সময় লাগবে প্রায় ১২-১৪ ঘন্টা।
চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে
তিনি
আরও
জানান,
চ্যানেল
কর্তৃপক্ষের
তরফে
১৭-২২
শে
সেপ্টেম্বরের
মধ্যে
তাকে
স্লট
দেওয়া
হয়েছে।
ওই
সময়ের
মধ্যেই
তাকে
নর্থ
চ্যানেল
জয়ের
লক্ষ্যে
নামানো
হবে।
২০০৪
সালে
সাঁতারে
রিমোর
কেরিয়ার
শুরু।
১৮
বছরের
সাঁতার
জীবনে
১৬
বার
ন্যাশানাল
প্যারা
সুইমিং
চ্যাম্পিয়নশিপে
সে
অংশ
নিয়েছে।
ঝুলিতে
রয়েছে
৫১
টি
স্বর্ণপদক,
৩৮
টি
রৌপ্যপদক,
৫
টি
ব্রোঞ্জ
সহ
সহ
আরও
অজস্র
রেকর্ড।
২০০৯
সালে
ওয়ার্ল্ডে
গেমসে
রূপো
জয়ের
পাশাপাশি
২০১০
সালে
ভারতে
অনুষ্ঠিত
দিল্লি
কমনওয়েলথেও
সে
দেশের
হয়ে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেছিল।
লড়াই শুধুই লড়াই
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে প্যারা এশিয়ান গেমসেও। কিন্তু তারপরে কিছুটা সময় আর্থিক ও নানা কারণে সে সাঁতার প্রতিযোগিতা থেকে দূরে সরে যায়। ২০১৫ সালে ফের নিজেকে সাঁতারে ফিরিয়ে আনে। তবে এবার আর প্রতিযোগিতা নয়, ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ে নামে সালকিয়ার এই একরত্তি যুবক। ২০১৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল, ২০১৯ সালে ক্যাটলিনার পর ২০২০ সালে নর্থ চ্যানেলের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে নেমেছিল রিমো। কিন্তু বাধ সাধে কোভিড। অবশেষে সমস্ত বাধা কাটিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে পাড়ি দিচ্ছেন রিমো। তবে রিমোর আক্ষেপ, এই স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ে তিনি কোনো স্পনসর ও সরকারি কোনো আর্থিক সহযোগিতা তিনি এখনো পাননি। ইউরোপ উড়ে যাওয়ার আগে শনিবার রিমোর সাথে দেখা করে তাকে শুভেচ্ছা জানান হাওড়া জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আমতা স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ'-এর সদস্যরা।