১লা মে থেকে মহারাষ্ট্রে এনপিআর তৈরিতে নামছে কেন্দ্র বিরোধী শিবসেনা সরকার
১লা মে থেকে মহারাষ্ট্রে এনপিআর তৈরিতে নামছে শিবসেনা সরকার
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাধি সরকার মহারাষ্ট্রে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী (এনপিআর) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও চলতি মাসেই রাজ্যে এনআরসি এনপিআর হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। যদিও মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের অন্য দুই শরিক কংগ্রেস ও এনসিপি এই বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানায় সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
১ লা মে থেকে ১৫ই জুনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু
সূত্রের খবর, ১ লা মে থেকে ১৫ই জুনের মধ্যে এই গোটা প্রক্রিয়াটি চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিহারের পর মহারাষ্ট্র হতে চলেছে দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে এনপিআরের মহড়া শুরু হতে চলেছে। এরআরসি বিতর্কের জন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যকে প্রকাশ্যেই এনপিআরের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে।
এনপিআরের সামলোচনায় বিরোধীরা
ইতিমধ্যেই অন্যান্য বিরোধী দল এনপিআর এনআরসিকে একই মুদ্রার এপিট ওপিট বলে সমালোচনা করেছে। গত মাসে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী রাজ্যে এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু করার কতা ঘোষণা করেছিলেন। ৪ঠা জানুয়ারী, সুশীল মোদী বলেন আগামী ১৫ ই মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত রাজ্যে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী (এনপিআর) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
১লা এপ্রিল থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোটা দেশে এনপিআর
পাশাপাশি কোনও সরকারি আধিকারিক এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর একটি সংবাদ সম্মেলনে সুশীল মোদী বলেনন, ইউপিএ শাসনকালে ২০১০ সালে এনপিআর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল যা ওই বছরের এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হয়। ২০২০ সালের এনপিআর প্রক্রিয়া ১লা এপ্রিল থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশেই শুরু হবে বলেও জানা সুশীল মোদী।
এনআরসি-এনপিআর নিয়ে শিবসেনার আগের অবস্থান
অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই দলীয় মুখপত্র সামানায় রাজ্যে এনআরসি এনপিআর হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিতে দেখা যায় শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরেকে। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পর থেকেই নানা ইস্যুতে শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির মতাদর্শের পার্থক্য চোখে পড়ছে। যদিও সিএএ নিয়ে মোদি সরকারকে সমর্থন করেছেন শিবসেনা প্রধান।
সোজা কথায় এনপিআর কী?
এনপিআর দেশের মোট বাসিন্দাদের একটি সাধারণ তালিকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে যে ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ৬ মাস ধরে রয়েছেন বা আগামী ৬ মাস ধরে থাকার পরিকল্পনা রয়েছেন তিনিই দেশের সাধারণ নাগরিক। সরকারের মতে এনপিআর কোনও নাগরিকত্বের গণনা নয়, কারণ এখানে ৬ মাস ধরে কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় যিনি থাকছেন, তাঁকেও নথিভুক্ত করা হয়। তাই এনআরসি আর অনপিআরকে গুলিয়ে পেলা যাবে না।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির স্বাস্থ্যহানির কথা ছড়িয়ে পড়তেই ইন্টারনেট বন্ধ কাশ্মীরে