করোনায় জর্জরিত দেশ, বন্ধ হোক এনপিআর! প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, সায় বিজেপি নেতাদের
দেশে করোনা আতঙ্কে রীতিমতো লকডাউনের পরিস্থিতি। এরই মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা মোটামুটি সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে এবার জনগণনা ও এনপিআর রুখতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ওড়িশআর মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
এনপিআর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পট্টনায়কের
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পট্টনায়ক লেখেন, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে ১ এপ্রিল থেকে জনগণনা ও এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। তবে রাজ্য এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমি আবেদন করছি যাতে এই বিষয়টি পিছইয়ে দেওয়া হয়।'
পট্টনায়কের যুক্তি
নিজের যুক্তির স্বপক্ষে পট্টনায়ক আরও লেখেন, 'দেশে এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন ৩০ লক্ষ মানুষ লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। এতে নিয়োজিত ব্যক্তি ও দেশের জনগণ, উভয়েরই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকবে।' জানা গিয়েছে ওড়িশা মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠিতে সায় রয়েছে সেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও।
এনপিআর নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা
কেন্দ্রের এনপিআর নিয়ে শুরু থেকেই অরাজি ছিল দেশের বেশ কয়েকটি অবিজেপি রাজ্য। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও একাধিক রাজ্যের দাবি ছিল পুরানো ধাঁচে শুরু হোক এনপিআর। তবে করোনার জেরে দেশের বর্তমান যা অবস্থা তাতে এনপিআর কোনও ভাবেই এখন অতটা প্রাসঙ্গিক নয় সরকারের কাছে। পাশাপাশি ওড়িশা ছাড়া একাধিক রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকার যেন এই পরিস্থিতিতে এনপিআরের কাজের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
এনপিআর পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এখনও এ বিষয়ে খোলাসা করে কিছুই বলা হয়নি। অনুমান করা হচ্ছে সেনসাস বা এনপিআরের সময়সীমা পিছিয়ে গেলেও, তা ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ করা হবে। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই কাজ শেষ হতে পারে বলে অনুমান অনেকের।