সিএএ-এনআরসি-এনপিআর লাগু হতে দেব না! হুঙ্কার ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের
দেশে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ), জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধক (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক (এনআরসি) কার্যকর করার জন্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। বুধবার দেহরাদুনে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে হুঙ্কার ছাড়েন আজাদ।
কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ চন্দ্রশেখরের
চন্দ্রশেখর আজাদ বলেন, 'আমরা কোনও ভাবেই এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ লাগু করতে দেব না। কেন্দ্র সরকারের এই বিষয়টি জানা উচিত। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।' এছাড়া সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, 'আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। সরকারের কোনও আইন আমাদের পছন্দ না হলে আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে পারি।'
দেশজুড়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলন ও বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, সারা দেশেই সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলন ও বিক্ষোভ চলছে। দিল্লিতেই প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী অবস্থান। সেই অবস্থান বিক্ষোভ সরানোর বিষয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। এর আগে সুপ্রিমকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে এভাবে রাস্তা অবরোধ করে মাসের পর মাস কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে পারে না। আজকের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কী হয় এখন সেটাই দেখার।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন শাহিনবাগের অবস্থানকারীরা
এর আগে শাহিনবাগে অবস্থানরত সিএএ বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের দাবি শোনার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠিও লিখেছিলেন। তবে তাতে কর্নপাত করেননি নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েও ব্যর্থ হন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সেই ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
শাহিনবাগে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর
শাহিনবাগের অবস্থানকারীদের মঞ্চের দিকে যেতেই চোখে পড়ে ৪০ ফিট লম্বা ভারতের একটি মানচিত্র। তার উপরে একটি স্লোগান লেখা, 'আমরা ভারতবাসীরা সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর মানি না!' শুধু তাই নয়, প্রতিদিন বহু হকারদের সেখানে ভারতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। এর আগে শাহীনবাগে গিয়েছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং, ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদরা। তারা সকলেই সেখানে গিয়ে কেন্দ্রের সিএএ-র বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন।