ঝাড়খণ্ডে তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কট, সোমবার আস্থাভোট চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন
ঝাড়খণ্ডে তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কট, সোমবার আস্থাভোট চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন
ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। সোরেনকে নির্বাচন কমিশন বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে করেছে বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকেই রাজ্যটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিধানসভায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন আস্থা ভোট চাইবেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে বিজেপি বিধায়কদের রবিবার একটি বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আলমগীর আলম বলেন, 'ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একাধিক ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, দু একদিনের মধ্যে সমস্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। তাই আমরা বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব পেশ করব। নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।'
প্রসঙ্গত, ২৫ অগাস্ট নির্বাচন কমিশন রাজ্যপালের কাছে একটি সুপারিশ পেশ করে। তবে সুপারিশে কী রয়েছে তা রাজ্যপাল বা নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন বিধায়ক হিসেবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করেছে। কিন্তু রাজ্যপাল এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির জোটের তরফে যৌথ বিবৃতি দাবি করেছে, রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ানোর জন্যই রাজ্যপাল এই বিষয়ে ঘোষণা দেরিতে করছেন।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা আশঙ্কা করে, বিজেপি মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও সরকার পতনের চেষ্টা করছে। বিজেপি ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়কদের নিজেদের দলে টানতে পারে। এর জেরেই ক্ষমতাসীন জোটের ৩২ জন বিধায়ককে রায়পুরের একটি রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যাতে বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপি কোনওরকম যোগাযোগ করতে না পারে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিতে চার জন ফিরে এসেছেন। জেএমএম সূত্রের খবর, সোমবার বিধানসভায় হেমন্ত সোরেন আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিতে পারেন।
অন্যদিকে, ১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে যান ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। তারপরেই নতুন করে জল্পনার পারদ বাড়তে থাকে। যদিও রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছেন, চিকিৎসাজনিত কিছু পরীক্ষার জন্য রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়েছে। ব্যক্তিগত কাজে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। রবিবারের মধ্যে তাঁর রাজ্যে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জোটের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতাসীন জোটের সমর্থনে ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। তারমধ্যে জেএমএম-এর ৩০ জন, কংগ্রেসের ১৮ জন ও জেডিইউ-এর এক জন। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় বিজেপির ২৬ জন বিধায়ক রয়েছেন।
জহরকে ফেরানো হলেও তৃণমূলের 'চোরাস্রোত’-এ অব্যাহত চাপানউতোর, ভাঙন-জল্পনাও