জহরকে ফেরানো হলেও তৃণমূলের ‘চোরাস্রোত’-এ অব্যাহত চাপানউতোর, ভাঙন-জল্পনাও
সম্প্রতি তৃণমূলের হেভিওয়েট-দের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা দলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। এমনকী মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর আত্মীয়-পরিজনরা চাইছেন না, তিনি আর রাজনীতিতে থাকুন।
সম্প্রতি তৃণমূলের হেভিওয়েট-দের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা দলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। এমনকী মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর আত্মীয়-পরিজনরা চাইছেন না, তিনি আর রাজনীতিতে থাকুন। কিন্তু তিনি আছেন, কেননা তাঁর এখনও ভরসা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার না মানা লড়াইয়ে প্রতি। তারপর থেকেই নানা জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের সাংসদকে নিয়ে।
জহর সরকারকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত
জহর সরকারের চাঁছাছোলা মন্তব্যের পরই তাঁকে একহাত নিয়েছিলেন সৌগত রায়। তিনি সাংসদ পর ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দিয়ে সমালোচনা করুন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে তৃণমূলের অপর মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, জহর সরকারকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। দল সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি কিছু বলবেন না।
তৃণমূলের রাজ্যসভার গ্রুপ থেকে বাদ!
তবে জহর সরকারকে শনিবার হঠাৎই তৃণমূলের রাজ্যসভার গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়। তবে কি কয়েকদিন আগে দলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এবার কি তাঁকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে? এমন ভাবনা নিয়েও চর্চা শুরু হয়।
বাদ দেওয়া হয়নি, নতুন গ্রুপে যোগ
কিন্তু হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে সরানোর পর কযেক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে একটি নতুন গ্রুপে ফিরিয়ে আনা হয়। শনিবার বিকেলে বাদ দেওয়া হয়, সন্ধ্যার পরই তাঁকে নতুন গ্রুপে অ্যাড করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার সংসদদের নিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই যুক্ত করা হয়েছে জহর সরকারকে। তৃণমূলের দাবি তাঁকে বাদ দেওয়া হয়নি। পুরনো গ্রুপ বন্ধ করে নতুন গ্রুপ খোলা হয়েছে।
তৃণমূলে পচন, মমতার উপর আস্থা
জহর সরকারকে রাজ্যসভার সাংসদদের গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে নতুন গ্রুপে ফিরিয়ে নেওয়া হল। উল্লেখ্য, তিনি সম্প্রতি দলের দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের একটা দিক পচে গিয়েছে। এই পচন নিয়ে ২৪-এর যুদ্ধে লড়াই করা কঠিন। তবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছিলেন।
ভাঙন জল্পনা অব্যাহত তৃণমূলে
আসলে তিনি সমালোচনার পাশাপাশি জানিয়েছিলেন রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা। তাঁর পরিবারের লোকেরা নাকি চাইছেন আত্মসম্মান রাখতে তিনি রাজনীতি যেন ছেড়ে দেন। বন্ধুরাও তাঁকে টিপ্পনি কেটেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ রয়েছেন বলে। তা তিনি প্রকাশ্য সাক্ষাৎকারে বলার পর থেকেই তাঁর দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তারপর রাজ্যসভার সাংসদদের গ্রুপ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় নতুন করে ভাঙন জল্পনা শুরু হয়ে যায়।