‘আমার গ্যাং সিধু মুসে ওয়ালাকে মেরেছে’, পুলিশের কাছে স্বীকার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের
‘আমার গ্যাং সিধু মুসে ওয়ালাকে মেরেছে’, পুলিশের কাছে স্বীকার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের
গ্যাংস্টার
লরেন্স
বিষ্ণোই
স্বীকার
করেছে
যে
তারই
গ্যাংয়ের
সদস্যরা
পাঞ্জাবী
গায়ক
সিধু
মুসে
ওয়ালাকে
খুন
করেছে।
সূত্রের
খবর,
দিল্লি
পুলিশের
কাছে
বিষ্ণোই
স্বীকার
করেছে
যে,
'হ্যাঁ,
আমার
গ্যাং
সদস্য
জড়িত
সিধু
মুসে
ওয়ালা
খুনের
ঘটনায়'।
দিল্লি
পুলিশের
কাছে
অকপট
স্বীরারোক্তিতে
বিষ্ণোই
জানিয়েছে
ভিকি
মিদুখেরা
তার
বড়
ভাই
এবং
তার
দল
ভিকির
খুনের
বদলা
নিয়েছে।
যদিও
তিনি
স্বীকার
করেছে
যে
তার
গ্যাং
পাঞ্জাবী
গায়ক
হত্যার
সঙ্গে
জড়িত
ছিল,
তবে
তিনি
নিজেকে
এই
ঘটনা
থেকে
দূরে
সরিয়ে
রেখেছিল।
বিষ্ণোই বলে, 'এটা আমার কাজ নয়, আমি জেলে এবং আমি আমার ফোনও ব্যবহার করছি না।' বিষ্ণোই জানিয়েছে সে তিহার জেলে রয়েছে এবং সে টিভি দেখে সিধু মুসে ওয়ালার খুনের ব্যাপারে জানতে পারে। সিধু মুসে ওয়ালা খুনের প্রাথমিক তদন্তের পরই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম উঠে এসেছিল। গত ২৯ মে মানসা জেলায় এই পাঞ্জাবী গায়ককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সিধু মুসে ওয়ালা হত্যার একদিন পর, লরেন্স বিষ্ণোই, যিনি বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি, তার আইনজীবীর মাধ্যমে তার নিরাপত্তা বাড়াতে বলেছিল। দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে এই আবেদন জানিয়ে বলা হয়, 'অভিযুক্ত একজন ছাত্রনেতা এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে পাঞ্জাব এবং চণ্ডীগড়ে তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একাধিক মিথ্যা মামলায় সে জড়িত এবং অভিযুক্ত আশঙ্কা করছে পাঞ্জাব পুলিশ ভুয়ো এনকাউন্টার করতে পারে।'
অন্যদিকে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ফেসবুক পোস্ট করে সিধু মুসে ওয়ালার খুনের দায় নিয়েছে। ব্রার, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, সে ফেসুবক পোস্টে জানিয়েছে যে গাংস্টার ভিকি মিদুলখেরার খুনের প্রতিশোধ নিতেই সিধু মুসে ওয়ালাকে খুন করা হয়েছে।
জঙ্গিদের গুলিতে পরপর পণ্ডিত হত্যা কাশ্মীরে, উপত্যকা ছেড়ে পালাচ্ছেন হিন্দুরা
এই বছর পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে মানসা জেলা থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হন সিধু এবং আপ প্রার্থী বিজয় সিংলার কাছে ৬৩,০০০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হন। তবে দুর্নীতির অভিযোগে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তাঁকে বহিষ্কার করেন। গতমাসে সিধু মুসে ওয়ালা আপ সরকার ও সমর্থকদের তাঁর গানের মাধ্যমে কটাক্ষ করে সমালোচিত হন। তিনি তাঁর গানে আপ সমর্থকদের 'গদ্দার' বলে সম্বোধন করেন।