দেশ জুড়ে আর্থিক মন্দা কাটাতে নতুন বাজেট কী ভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে জেনে নিন
দেশ জুড়ে আর্থিক মন্দা কাটাতে নতুন বাজেট কী ভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে জেনে নিন
২০২০-২১ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রকাশিত হতে চলেছে আগামী ১ লা ফেব্রুয়ারি। কৃষক না শিল্পপতি, ধনী ব্যবসায়ী নাকি মধ্যবিত্ত কার দিকে থাকবে পাল্লা ভারী তার উত্তর পাওয়া যাবে ওই দিনই।
এদিকে দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান আর্থিক মন্দা কাটাতে কেন্দ্র সরকার নতুন বাজেটে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলেও জানা যাচ্ছে। গত বছর মে মাসে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটাই কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বাভাবিক কারণেই অধীর আগ্রহে সবাই তাকিয়ে রয়েছে বাজেটের দিকে।
বিপুল আর্থিক মন্দার মুখে দাঁড়িয়ে পেশ হতে চলেছে বাজেট পেশ
অন্যদিকে বিপুল আর্থিক মন্দার মধ্যে দাঁড়িয়ে এ বার বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা। পাশাপাশি এ দিকে, দেশকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে ধরতেও বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। সে লক্ষ্যে বাজেটে কোনও ছাপ পড়বে কি না, তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে কোন কোন ক্ষেত্র গুলির উপর বিশেষ নজর দিলে দেশের এই আর্থিক দুরবস্থায় খানিক রাশ টানা সম্ভব সে বিষয়েও বেশ কিছু রূপ রেখা প্রদান করেছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
টেলিকম
‘সংযোগই' হলো বর্তমান ভারতের বিকাশের মূল অস্ত্র। আর তার অন্যতম প্রধান কাণ্ডারি হলো টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি। সুতরাং, সরকারকে অবশ্যই টেলিকম শিল্পের উদ্বেগের বিষয় গুলিকে চিহ্নিত করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের মতো সুস্পষ্ট শুল্ক গুলির উপর কিছুটা রাশ টানলে এই শিল্প বেশ কিছুটা অক্সিজেন পাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আবাসন
গত অর্থবছর থেকেই এই শিল্পকে ক্রমাগত অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে দেখা গেছে। যার ফলে দেশজুড়ে অবিক্রীত আবাসনের সংখ্যা উত্তর উত্তর বাড়ছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা ও চাহিদা হ্রাসের কারণে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ফ্ল্যাট বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রেও সরকারের আরও গভীর ভাবে মনো নিবেশ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
অর্থ
একাধিক ব্যাঙ্কে জালিয়াতির ঘটনা ক্রমশ এই ক্ষেত্রের প্রতি মানুষের অনাস্থার কারণ হচ্ছে। তাই আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে একাধিক সময় সরকারের আরও যথাযথ ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগ টানতে বীমা খাতে এফডিআইয়ের দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
শিক্ষা
গত পাঁচ বছরে শিক্ষা খাতে ব্যয় সাড়ে চারগুণ বাড়লেও এই দিকে আমাদের আরও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গত বছর, সরকার স্নাতকদের শিল্প সংস্থায় কাজের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দক্ষতা শংসাপত্র প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা উন্নয়ন যোজনা (পিএমকেভিওয়াই) চালু করেছে করেছে। আগামীতে এই প্রকল্পগুলির সাফল্যের জন্য সরকারকে আরও বেশি পরিমাণ অনুদান নিশ্চিত করতে হবে বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের।