এবার ব্যাঙ্কও কি জানতে চাইতে পারে আপনার ধর্ম, জল্পনা তুঙ্গে
এবার ব্যাঙ্কও জানতে চাইতে পারে আপনার ধর্ম পরিচিতি। সংশাধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের মধ্যেই এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে
এবার ব্যাঙ্কও জানতে চাইতে পারে আপনার ধর্ম পরিচিতি। সংশাধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের মধ্যেই এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী আরবিআই ইতি মধ্যেই ফেমা আইনের একটি অংশ সংশোধন করেছে। এই সংশোধনই আগামী দিনে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে পরিবর্তন আনতে পারে।
এবার শরণার্থীদের কাছে ব্যাঙ্কের সুবিধা
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শরণার্থীদের কাছে ব্যাঙ্কের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে এইভাবেই। এর অর্থ এই যে সামনের দিলগুলিতে ব্যাঙ্কগুলি নো ইওর কাস্টোমার ফর্মে ধর্ম সংক্রান্ত একটি সেকশন রাখতে পারে।
আইন সংশোধন ২০১৮ সালে
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আইন সংশোধনের কাজটি হয়েছে ২০১৮ সালে। ফেমা আইনে সংশোধনী অনুযায়ী, আইন সংশোধনে লাভবান হবেন, হিন্দু, শিখ, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টান এবং বুদ্ধিস্টরা। নাগরিকত্ব আইনের মতোই, আরবিআই-এর নতুন আইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তালিকা থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আগত মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দেওয়া যায়।
আরবিআই ওয়েবসাইটে তথ্য
আরবিআই ওয়েবসাইটেই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। শিডিউল ৩ -এর সংশোধন অনুযায়ী, প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ছটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা, যাঁরা ভারতে থাকার অধিকার পেয়েছেন, কেন্দ্রের দীর্ঘ মেয়াদি ভিসার ভিত্তিতে, তাঁরা এনআরও অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি পাবেন। আর এই এনআরও অ্যাকউন্ট রেসিডেন্ট অ্যাকাউন্টের মর্যাদা পাবে, যখন সেই ব্যক্তি ভারতের নাগরিক হবেন, তখন।
ইতিমধ্যেই ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন
১১ ডিসেম্বর সংসদের পাশ হওয়ার দুদিন পরে রাষ্ট্রপতি নাগরিকত্ব বিলে সই করার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে ভারতের প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে আগত সেখানকার ছটি ধর্মী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে তারপর থেকেই উত্তাল সারা ভারত।