কত মাস আগে নতুন নোট সিলমোহর দেয় কেন্দ্র? জানাল আরটিআই আইন
নতুন ২ হাজার ও ৫০০ টাকার নোটের নকশায় ৭ জুন ২০১৬ তারিখে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র সরকার। অর্থাৎ ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের ঘটনার ঠিক পাঁচ মাস আগে।
নয়াদিল্লি, ২৮ জানুয়ারি : নতুন ২ হাজার ও ৫০০ টাকার নোটের নকশায় ৭ জুন ২০১৬ তারিখে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র সরকার। অর্থাৎ ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের ঘটনার ঠিক পাঁচ মাস আগে। সর্বভারতীয় সংবাদ গোষ্ঠী এনডিটিভির তথ্য জানার অধিকার আইন দায়ের করা প্রশ্নের জবাব এই তথ্যই জানিয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।[আর একবার পুরনো ৫০০-১ হাজারের নোট বদলের সুযোগ মিলতে পারে!]
কালো টাকা রোধে ও দুর্নীতি কমাতে এক ঘোষণায় দেশের মোট নোটের ৮৬ শতাংশ যা ছিল ৫০০ ও ১ হাজারের নোটে, তা বাতিল ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনার পরে যখন পদক্ষপকে স্বাগত জানানো হয়েছিল, পাশাপাশি সিদ্ধান্ত বলবৎ করার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত বলবৎ করলে সাধারণ মানুষের এত হয়রানি হতো না বলেই সংখ্যাগরিষ্ঠের মত।[বিগত ৫০০ বছর ধরে ভারতের এই রাজ্যের একটি গ্রামে চলছে 'ক্যাশলেস ব্যবস্থা']
তথ্য জানার আইনে বলা হয়েছে, গতবছরের ১৯ মে নতুন ২ হাজারের ও ৫০০ টাকার নোটের নকশায় অনুমোদন দেয় আরবিআই। তবে এর বাইরে আরটিআই জিজ্ঞাসায় আর কোনও তথ্য আরবিআই জানায়নি।[কম নগদ লেনদেনেও এবার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে PAN কার্ড!]
জানানো হয়েছে, এর বেশি তথ্য প্রকাশ পেলে ভারতের সার্বভৌমত্বও একতায় আঘাত লাগবে। পাশাপাশি নিরপত্তার প্রশ্ন এতে জড়িয়ে রয়েছে। দেশের পরিকল্পনা, বিজ্ঞান, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও বাইরের দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই নোট ইস্যু জড়িত। ফলে এর বেশি তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।[নোট বাতিলের ২ মাস পরে চাঞ্চল্যকর বয়ান আরবিআইয়ের]
তথ্য জানার অধিকার আইনেই জানা গিয়েছে, সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আরবিআই কেন্দ্র ৮ নভেম্বরে সরকারকে নোট বাতিলের পরামর্শ দেয় এবং সন্ধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নোট বাতিলের ঘোষণা করেন।[ই-লেনদেন করে লাখপতি ৪৫ জন, এখনও রয়েছে টাকা জেতার সুযোগ]