ব্যবহারে প্রভাব ফেলতে পারেনি নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত! ২০১৬ থেকে নগদের ব্যবহার বেড়েছে ৮৩%
ব্যবহারে প্রভাব ফেলতে পারেনি নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত! ২০১৬ থেকে নগদের ব্যবহার বেড়েছে ৮৩%
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়েই দেখা যাচ্ছে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল দেশের মুদ্রার ব্যবহারে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। কেননা ২০১৬-র ৮ নভেম্বরে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে নগদের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৮৩ শতাংশের মতো।
২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তৎকালীন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণ গিসেবে কালো টাকার ব্যবহার রোধ করা এবং ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থের আদানপ্রদান বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথা অনুসারে, ২০১৬-র ৪ নভেম্বর সিআইসি (কারেন্সি ইন সার্কুলেশন) ১৭.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২০২২-এর ২৩ ডিসেম্বর বৃদ্ধি পেয়ে ৩২.৪২ কোটি টাকা হয়েছে। তবে নোট বাতিলের পরেই ২০১৭-র ৬ জানুয়ারি অনুযায়ী সিআইসি ৯ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল। যা ২০১৬-র ৪ নভেম্বরের প্রায় অর্ধেক।
২০২২-এর ২৩ ডিসেম্বরের সিআইসি ২০১৭-র ৬ জানুয়ারির তুলনায় ৩ গুণ বা ২৬০ শতাংশের মতো। আর ২০১৬-র ৪ নভেম্বরের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি।
২০২২-এর ২৩ ডিসেম্বরের সিআইসি ৩২.৪২ লক্ষ কোটি টাকা হলেও, ২০২২-এর ৩১ মার্চ তা ছিল ৩১.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। নোট বাতিলের পরের বছর যা ৩৭.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮.০৩ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চের শেষে ১৭.০৩ শতাংশ বেড়ে ২১.১০ লক্ষ কোটা টাকা হয়েছে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ত্রুটিপূর্ণ ছিল না। সর্বোচ্চ আদালতের ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৪:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছে। একমাত্র বিচারপতি নাগারখনা আরবিআই আইনের ২৬(২) ধারা অনুসারে কেন্দ্রের ক্ষমতা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।